জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মেহেদী হাসান রাব্বি নামে এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহত রাব্বি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের (২০১৬-১৭) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

মেহেদী’র গ্ৰামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পৌর শহরের কলেজ পাড়া এলাকায়। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রামের নিজ বাসায় তাঁর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত কাল রাতে (রবিবার) মেহেদী দরজা বন্ধ করে নিজ কক্ষে ঘুমাতে যান , আজ (সোমবার) সকালে রাব্বি কে পরিবারের সদস্যরা ঘুমানো অবস্থায় দেখেন । কিন্তু দুপুরে তাঁর দরজা বন্ধ দেখে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। অনেক চেষ্টা করে দরজা খুলতে না পেরে শেষে দরজা ভেঙ্গে দেখেন মেহেদী হাসান রাব্বি’র মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। মেহেদীর বাবা নাম মৃত জামাল উদ্দিন ও মা লাবলি। পরিবারের ৫ ভাই-বোনের মেহেদী ৩য়।

এই বিষয়ে জবিস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাবু জানান, নিহত মেহেদী হাসান রাব্বি জবিস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। আমরা জানতে পারি গত রাতে সে নিজ রুমে ঘুমাতে যান, আজ দুপুর পর্যন্ত তাঁর রুম বন্ধ থাকলে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয় । তখন তাঁরা দরজা ভেঙ্গে দেখে মেহেদী’র মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। আজ (সোমবার) বাদ এশা নিহত মেহেদীর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে ‌।

নিহত মেহেদীর বিষয়ে তাঁর বিভাগীয় চেয়ারপার্সন অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ছেলেটি আমার নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হওয়ার কারণে কাছ থেকে চিনি। সে খুব অমায়িক ছেলে ছিল। ১ বছর আগে তাঁর বাবা মারা যায়। এজন্য তার মন খারাপ ছিল। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি খোঁজ খবর রাখার কিন্তু মাঝে সে আর কিছু জানায়নি কী জন্য কী হয়েছে। মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া উদ্দেশ্য রওনা হয়েছি।

সূত্রঃ ভোরের কাগজ