রোজার মাস, সারাদিন নামাজ পড়ে কাজ করে ইফতারের আগে অজু করে টিভি অন করে বসা হয় নানা ইসলামিক অনুষ্ঠান বা কোরআন তেলাওয়্যাত শোনার জন্য। হ্যা এগুলো হয়, ইফতারের অনেক আগে প্রচার করা হয়।

ইফতারের ঠিক ৫-৮ মিনিট আগে যখন ইচ্ছে করে ইসলামিক কিছু দেখি কিংবা যখন আজানের অপেক্ষায় তখন প্রায় প্রতিটি বাংলাদেশী চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচারের ঢল শুরু হয়। আমি জানি রোজার মাসে টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপন প্রচারের এটি প্রাইম টাইম। বিজ্ঞাপন দাতাদের অনেক টাকা খরচ করতে হয় আবার  টিভি চ্যানেলও অনেক টাকা লাভ করে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো ইফতারের ঠিক আগের মুহূর্তে কি সমন্বয় করে বিজ্ঞাপন চালানো যায় না? অনেক দর্শক একপ্রকার বিরক্ত।

আবার সম্প্রতি ইফতারের ৪/৫ মিনিটে একটি বিদেশী জুসের বিজ্ঞাপনের কারণে অনেকেরই রোজা নষ্টের অভিযোগ উঠেছে।  এই বিজ্ঞাপন বন্ধের দাবীও উঠেছে বিভিন্ন মাধ্যমে।  শুধু কি বিজ্ঞাপন প্রচার করে মুনাফা অর্জন করাটাই টিভি চ্যানেলের কাজ?  মার্কেটিং বিভাগের কি বিজ্ঞাপনটি দেখে বুঝে প্রচার করা উচিত ছিলো না? একটি টিভি চ্যানেল থেকে মানুষ অনেক কিছু জানতে পারে। কিন্তু প্রতিনিয়ত সমন্বয়হীন বিজ্ঞাপনের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে দর্শক, বিরক্ত হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে দর্শক।

এমনিতেই বাংলাদেশী টিভি চ্যানেলে কোন অনুষ্ঠান দেখতে গেলে বিজ্ঞাপনের কারণে একসময় চ্যানেল পরিবর্তন করতে বাধ্য হন দর্শক। একটি কয়েক বছর ধরেই হয়ে আসছে, সমালোচনা হচ্ছে কিন্তু টিভি চ্যানেলের এতে খুব বেশী মাথা ব্যাথা দেখা যায় নি। বিজ্ঞাপন প্রচুর আছে কিন্তু খোজঁ ‍নিলে জানা যায় বেশীরভাগ টিভি চ্যানেলে কর্মরতরা ঠিক মত বেতন পাচ্ছে না।

আমার মতে টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন চালানোর আগে ষ্টাডি করা হোক, দর্শকদের ভালো-মন্দ, বিরক্ত বা ক্ষোভ ইত্যাদী বিষয়ে ধারণা নিয়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন চালানো হোক। সেটা ইফতারের আগে কিংবা ঈদের নাটকের বেলায়ও।

লেখা- অনিন্দ্য