বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। গুলশানে ওই তরুণী মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত করে আমরা ব্যবস্থা নিব।

বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডির নিজ বাস ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান তিনি।

গুলশানে বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের প্রেমিকা মোসারাত জাহান মুনিয়ার(২১) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। দেশের শীর্ষ এ শিল্পপতি সংশ্লিষ্ট এমন ঘটনার শেষ কী হয় সে বিষয়ে চারদিকে চলছে নানা গুঞ্জন। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে আইনের অবস্থান স্পষ্ট জানিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এসময় হেফাজতের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও চলমান বিচার নিয়ে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, শাপলা চত্বরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানো যায় কি-না সেই উদ্দেশ্যে হেফাজতে ইসলাম সহিংসতা চালিয়েছিল বলে আমাদের তদন্তে চলে আসছে।

হেফাজত সারাদেশে যথেষ্ট ভাংচুর করেছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভূমি অফিসে জমির সব ধরনের কাগজপত্র থাকে সেখানে হেফাজত অগ্নিসংযোগ করে। এর পেছনে নিশ্চয়ই উদ্দেশ্য ছিল অশান্তি সৃষ্টি করা। তারা ডিসির বাংলোয় আক্রমণ করে, পুলিশের বাংলো আ্যটাক করে এবং পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এমনকি তারা ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান ইনিস্টিউটেও ভাংচুর চালায়। এই শব্দগুলো একসঙ্গে মূল্যায়ন করলে তাদের মূল উদ্দেশ্য বের হয়ে আসবে।

তিনি বলেন, ২০১৩ সালে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটনো যায় কি-না সেই উদ্দেশ্যে হেফাজতে ইসলাম সহিংসতা চালিয়েছিল বলে আমাদের তদন্তে চলে আসছে। তাদের অবশ্যই রাজনৈতিক অভিলাস ছিল। হেফাজতের নানা ধরনের গোপনীয় কর্মকাণ্ড আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী খতিয়ে দেখছে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, হেফাজতের ফিনান্স যারা করেছে তাদের বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থারা কাজ করছে। কিছু কিছু উপাদান পাচ্ছি, তবে এখনই এনাউন্স করতে চাইনা। আরও কিছুদিন তদন্ত করে তারপর এনাউন্স করব। কার একাউন্টে কোথা থেকে কত টাকা আসছে তদন্তে বের হয়ে আসবে।

তিনি আরও বলেন, হেফাজতে ইসলামের গঠনতন্ত্রে পরিষ্কার লেখা আছে তারা কোনো রাজনৈতিক ইস্যুতে অংশগ্রহণ করবে না এবং তারা রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকবে। কিন্তু আমরা লক্ষ করেছি রাজনৈতিক বেড়াজালের মধ্যে আটকে বিভিন্ন অপকৌশলে চিহ্নিত জঙ্গি, চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং রাষ্ট্রের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যায়।

বাবুনগরীর মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাবুনগরীর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে মামলা ছিল। সে সময় আটকও হয়েছিল তিনি। আটক হয়ে জামিন নিয়েছিল। সেটা এখন কোন অবস্থায় আছে জেনে এরপর জানাতে পারব। তার বিরুদ্ধে যেগুলো মামলা হয়েছে সবগুলো আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ আইনের ঊর্ধে নয়। যেই অপরাধ করবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সূত্রঃ ভোরের কাগজ