রোজার সময় মুখ ও দাঁতের বিশেষ এবং ভিন্ন উপায়ে যত্ন নেয়া অপরিহার্য কারণ রমজানে আপনার মুখের স্বাস্থ্যের প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ না দিলে দাঁতের ক্যাভিটিস সমস্য হতে পারে এমনকি মাড়ির রোগের মতো সমস্যাও হতে পারে।
আপনি যদি এরই মধ্যে কোন অভিজ্ঞ ডেন্টিষ্ট না দেখিয়ে থাকেন তাহলে দ্রুত রোজা রাখার আগে ডেন্টাল চেকআপ ও ডেন্টাল হাইজিন এর জন্য অভিজ্ঞ ডেন্টিষ্টের সাথে যোগাযোগ করুন।
রোজা রাখার সময় দুর্গন্ধ বা হ্যালিটোসিস সবচেয়ে সাধারণ।দীর্ঘ সময় ধরে কিছু না খাওয়া এবং পান না করার ফলে মুখের পানিশূন্যতা হয়, যার ফলে লালা কমে যায়, যা দাঁত, মাড়ি এবং জিহ্বায় দুর্গন্ধের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া তৈরি করতে সক্ষম করে।
আজকে রমজানে মুখ ও দাঁতের যত্নে বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন ডাঃ তারান্নুম অরেলিয়া চৌধুরী (শিকদার ডেন্টাল ক্লিনিক, উত্তরা)।
-
ইফতার ও সেহরীর পর দাঁত ব্রাশ করুন।
-
দাঁতের সুরক্ষা দিবে এমন ভালো টুথপেষ্ট ব্যাবহার করুন।
-
মুখের হাইজিন পরীক্ষা করার জন্য নন-ফাষ্টিং সময় (ইফতার ও সেহরীর আগ পর্যন্ত) অন্তত মিনিট দাঁত ব্রাশ করেছেন সেটা নিশ্চিত হোন। রোজা রেখে টুথপেষ্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে রোজা ভাঙ্গবে না, তবে টুথ পেষ্ট গিলে ফেলা যাবে না।
-
দাঁতের মাঝে আটকে থাকা খাবারের কণা অপসারণের জন্য ফ্লসিং করা উচিত।
এ্যালকোহল মুক্ত মাউথওয়াশ ব্যাবহার করুন এবং ৩০ সেকেন্ড মুখের ভেতর রেখে কুলকুচি করে নিতে হবে।
-
জিহ্বায় যে কোনও সাদা আবরণ থেকে মুক্তি পেতে জিভ ক্লিনার ব্যবহার করুন কারণ এটি নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের প্রাথমিক কারণ।
-
রোজা রাখার সময় জিভ স্ক্র্যাপার বা মিসওয়াক কাঠি ব্যবহার করা যেতে পারে।
-
রোজা বা উপবাসের সময় ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। এই অভ্যাসটি শুধুমাত্র আপনার মুখের টিস্যুকে প্রভাবিত করে না বরং নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ এবং দাঁতে দাগ পড়ার একটি সুপরিচিত কারণ। এই সময়ে ধূমপান ত্যাগ করা সহজ হতে পারে। তাই এখনই ধূমপান ছেড়ে দিন!
-
একটি এন্টিসেপটিক সলিউশন ব্যবহার করে দাঁতকে অবশ্যই ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে কারণ অপরিষ্কার দাঁতের কারণেও নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে।
-
ডায়াবেটিস রোগীরা দিনে দুবার মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে পারেন।
-
কিছু ব্যায়াম করুন, তবে অতিরিক্ত করবেন না।
দাঁতের যত্নে অভিজ্ঞ ডেন্টিষ্ট দেখাতে যোগাযোগ করুন:
“শিকদার ডেন্টাল ক্লিনিক”
বাড়ী ৫, রোড ১৬, সেক্টর ৬,
রাজউক কলেজের পেছনে,
উওরা, ঢাকা। হেল্প লাইন: 01977350290
Aninda, Sub-Editor