বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশকে নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে নানা মুখরোচক হেডলাইন দিয়ে প্রতিবেদন করতে দেখা যাচ্ছে। এটা অনেকটা মলম বিক্রীর মতো এবং এটি গণমাধ্যমের নীতি বহির্ভূত।

আজ ইউটিউবে চোখে পড়লো ভারতের কয়েকটি টিভি চ্যানেল এর বেশ কয়েকটি সংবাদের ভিডিও ও তাদের হেডলাইন। সত্যি কথা বলতে হেডলাইনগুলোর ইঙ্গিত স্পর্শকাতর, নোংরা ও উস্কানী মূলক। এর কারণ ইসকন এর নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে।

অথচ আদালত প্রাঙ্গনে আইনজীবিকে পিটিয়ে হত্যা করে ইসকনের সমর্থকরা, এর মধ্যে আছেন কয়েকজন আওয়ামীলীগের সদস্য।

ভারতের গণমাধ্যমে

কয়েকটি সংবাদের শিরোনাম – “বাংলাদেশের গোপন ছবি, সেনা আর মৌলানাদের রাস্তায় হিন্দু মহিলাদের ধরে কাজ শুরু” আজ তাক বাংলা টিভির করা এই সংবাদের ভাষা কতটা নোংরা সেটা পাঠকরা পড়েই বুঝতে পারছেন। 

আরো কয়েকটি সংবাদ শিরোনাম-

ভারতের গণমাধ্যমে

“বাংলাদেশে ভারতের মিলিটারী আপারেশন? সনাতনীদের প্রাণ চলে যাবে সম্পত্তি দখল হয়ে যাবে” এটি টিভি৯ বাংলার করা একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম। ভিডিওতে জগাখিচুরী পাকিয়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তী নষ্ট ও ইসকনকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে আছে ভারত সেটাই প্রকাশ পেলো। এছাড়া “কেড়ে নেয়া হবে ইউনূসের নোবেল?”

ভারতের গণমাধ্যমে

গতকাল কলকাতায় জাগরণ মঞ্চে হামলা করে কলকাতার পুলিশ এবং সেখানে ইসকনের পক্ষ নিয়ে একজন বক্তব্য দেন যে “ভারতে আসা বা ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে?” এর মানে এখানে ইসকনের নেতাকে না ছেড়ে দিলে তারা ভারতে থাকা বাংলাদেশীদের ক্ষতি করবে।

ভারতে গণমাধ্যমে পদ্মা পাড়ের হিন্দুদের উপর হামলা আগুন এর যেসব ভিডিও দেখিয়েছেন সেটা কতটুকু সত্য তা জানা নেই, কারণ বাংলাদেশের কোন গণমাধ্যমে আমরা দেখিনি কোথাও হিন্দুদের ঘরে আগুন বা হামলা হচ্ছে। বরং কয়দিন আগেই চট্টগ্রামে আদালত প্রাঙ্গনে আইনজীবিকে পিটিয়ে হত্যা করে ইসকনের পক্ষের লোক।

ভারতের গণমাধ্যমে

ভারতীয় গণমাধ্যমের এতো সব মিথ্যে বানোয়াট সংবাদ প্রচার নিয়ে বাংলাদেশ সরকারে কঠোর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট ও ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে রক্ষা করতে কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে।

মোহাম্মদ মহসীন

সম্পাদক ও প্রকাশক