বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম) এর দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকাস্থ ইএমকে সেন্টারে ‘বাংলাদেশ পুনর্জন্ম: ৩৬ জুলাইয়ের পথে’ শিরোনামে একটি চিত্র প্রদর্শনী শুরু হতে যাচ্ছে।
বিজেআইএম এর এই প্রদর্শনীর বিষয়বস্তু হচ্ছে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বাংলাদেশের ছাত্রজনতার বিপ্লব যার ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের পতন ঘটে।
প্রদর্শনীটি আনুষ্ঠানিকভাবে ২ ডিসেম্বর, ২০২৪-এ বিকাল সাড়ে তিনটায় উদ্বোধন হবে এবং তা চলবে ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ এর রাত আটটা পর্যন্ত। এছাড়া ৬ ও ১১ ডিসেম্বর প্রদর্শনী সংগত কারণে বন্ধ থাকবে৷
প্রদর্শনীটি ইএমকে সেন্টারের গ্যালারী ব্যতীত তাদের ভার্চুয়াল গ্যালারির মাধ্যমেও দেখা যাবে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনির ছেলে মাহির সরোয়ার মেঘ।
বিজেআইএম এর পক্ষ থেকে এর প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক স্যাম জাহান এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব ফয়সাল মাহমুদ সাংবাদিক, কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ, অধিকারকর্মী, ছাত্র এবং জনসাধারণকে প্রদর্শনীটি দেখার জন্য আমন্ত্রণ ও আহবান জানিয়েছেন।
প্রখ্যাত আলোকচিত্রী এবং বিজেআইএম সদস্য কেএম আসাদ প্রদর্শনীর কিউরেশান করেছেন। উল্লেখ্য, প্রদর্শনীতে জমা পড়া এবং প্রদর্শিত সকল ছবিই বিজেআইএম সদস্যদের কাজ।
যদিও সমস্ত অংশগ্রহণকারীরা পেশাদার আলোকচিত্রী নন, তবে এর মাধ্যমে এ সংগঠনের সদস্যরা, যারা সম্মুখে থেকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লব নিয়ে প্রতিবেদন বা কাজ করেছেন, তাঁরা কিভাবে ঘটনাপ্রবাহগুলো দেখেছেন ও উপস্থাপন করেছেন সেটা তুলে ধরার একটা প্রচেষ্টা করা হয়েছে। এই বিপ্লবে মুক্ত প্রেসের কি অবদান ছিল, সেটার ভাবনার খোরাকও এই প্রদর্শনী জোগাবে।
উদ্বোধনের পর, বিজেআইএম সদস্য যারা ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনটি সম্মুখ হতে কভার করেছেন তারা একটি ঘরোয়া আলোচনার মাধ্যমে তাদের অভিজ্ঞতাগুলো জানাবেন। এই নিজস্ব অভিজ্ঞতার গল্পগুলো দর্শক ও শ্রোতাদের বিপ্লব সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলির ব্যাপারে গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
বিজেআইএম, জুলাই ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত, একটি সংগঠন যা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা এবং বাংলাদেশী সাংবাদিকদের সকল প্রকার নৈতিক সমর্থন দেয়াড় জন্য নিবেদিত।
সংগঠনটি বিগত মাসগুলোতে ধারাবাহিকভাবে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা করেছে, বিশেষ করে সীমাবদ্ধ মিডিয়া আইন এবং সেন্সরশিপের সময়কালেও বিজেআইএম অরাজনৈতিকভাবে সর্বোচ্চ সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছে।
বিজেআইএময এর কর্মসূচী পালনে বিশ্বখ্যাত কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট (CPJ) এর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে আসছে।
ইএমকে সেন্টারের সহযোগিতায়, বিজেআইএম ২০২৩ সালে একটি মর্যাদাপূর্ণ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালু করেছে, যার দ্বারা ৪০ জন মধ্য-ক্যারিয়ারে থাকা সাংবাদিক উপকৃত হয়েছেন এবং বর্তমানে স্ব স্ব অবস্থানে দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
এই প্রদর্শনীটি বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য চলমান লড়াইয়ের একটি দারুণ প্রতিফলন বলে আমরা বিশ্বাস করি।
–প্রেস বিজ্ঞপ্তি