কুয়েতে সাজাপ্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মাদ শহীদুল ইসলাম পাপুলের ৪ বছরের সাজার রায়ের কপি জাতীয় সংসদে এসেছে বলে জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। যদি পাপুলের সদস্যপদ বাতিল হয় তা হলে সেটা হবে জাতীয় সংসদের ইতিহাসে একটি নজির বিহীন ঘটনা।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্পিকার জানান, সংবিধান অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে সংসদ ব্যবস্থা নেবে। সে ক্ষেত্রে সংবিধান ও জাতীয় সংসদের বিধি বা আইন অনুযায়ী কোন সংসদ সদস্য কোন অপরাধের জন্য যদি ২ বছরের বেশী সাজা প্রাপ্ত হন তা হলে সংবিধান অনুযায়ী তার সদস্য পদ বাতিল হবার বিধান রয়েছে । সুতরাং কুয়েতের আদালতে পাপুলের ৪ বছরের সাজার জন্য তার সদস্যপদ বাতিল হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা বলে জাতীয় সংসদ সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ভোরের কাগজকে জানান, এ সংক্রান্ত চিঠি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ন থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদ সচিবালয়ে এসেছে। আজ শুক্রবার ছুটি হওয়ার এ নিয়ে আমি এখনো সিদ্ধান্ত নিই নি, তবে সংবিধান অনুযায়ী পাপুল যদি ৪ বছর সাজা প্রাপ্ত হন তা হলে আপনারাই তো জানেন সংবিধান অনুযায়ী কোন এমপির সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাওয়ার বিধান রয়েছে। তবে আমি এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয় নি, দু একদিনের মধ্যে আপনারা সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ভোরের কাগজকে জানান, সংবিধান মোতাবেক কোন এমপি যদি দু বছরের ওপর সাজা প্রাপ্ত হন তা হলে তার সদস্য পদ বাতিল হবার কথা বলা রয়েছে।
এদিকে শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, ৬১ পাতার রায়ের কপি আমরা পেয়েছি। আমরা ইতোমধ্যে সেটি সংসদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আমাদের দেশের মতো কুয়েতেও রায় আসতে অনেক দেরি হয়। এজন্য আমরা খুব পেরেশানিতে ছিলাম। রায়ের কপি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বাকিটুকু তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।
সংসদ সদস্য পদ থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি আমাকে বলে লাভ নেই। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংসদের একটি রীতি আছে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সুতরাং পাপুলের এমপিত্ব বাতিল এখন সময়ের অপেক্ষা।
এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামকে বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুদক।
সূত্রঃ ভোরের কাগজ
