Select Page

ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে কাফরুলের ইন্টারনেট ব্যবসায়ীর মৃত্যু!

ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে কাফরুলের ইন্টারনেট ব্যবসায়ীর মৃত্যু!

নরসিংদীতে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে এক ইন্টারনেট ব্যবসায়ী বাবু’ র মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার রাত সাড়ে ১২টর দিকে নরসিংদী রেলস্টেশনের পুরাতনপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা রেল লাইন থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত ইন্টার‌নেট ব্যবসায়ী ঢাকার কাফরুল এলাকার বাবু ইসলাম (৩৫)। তিনি রাজশাহী জেলার ইসলাম মিয়ার ছেলে।

মৃত্যুর আগে বাবু ১৪ নভেম্বর রাত ১২.২৫ মিনিটে তার ফেসবুক প্রোফাইলে (Shaidur Rahman Rohid) একটি দীর্ঘ পোস্ট দেয়। এবং তারপরপরই তাকে সবাই খুঁজতে থাকে। সকালে রেললাইনের উপর তার ছিন্নবিচ্ছিন্ন মরদেহ পাওয়া যায়। তার পোস্ট টি ছিলো-

কাফরুলের ইন্টারনেট ব্যবসায়ীর মৃত্যু!

নিহতের ফেসবুক প্রোফাইলে করা শেষ পোস্ট

নিহতের স্বজনরা জানায়, সাত বছর আগে ঢাকার কাফরুল এলাকার বাবু ইসলামের সঙ্গে নরসিংদী সোনাতলা এলাকার তোহরার বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের ছয় বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি পারিবারিক কলহের জেরে তোহরা তার বাবার বাড়িতে চলে যান।

বুধবার স্ত্রী তোহরাকে নিতে নরসিংদী যান বাবু ইসলাম। কিন্তু স্ত্রী তার সঙ্গে যেতে রাজি হননি। বাবু ইসলামকে ঘর জামাই থাকার প্রস্তাব দেন তার স্ত্রী তোহরা। এতে রাজি হননি বাবু।

স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে স্ত্রী ও তার ভাইদের জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাস্টাস দিয়ে আত্মহত্যা সিন্ধান্ত নেন বাবু ইসলাম।

পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিলেটগামী তুর্না নিশিতা ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে  নরসিংদী রেলস্টেশনের পুরাতনপাড়া ব্রিজ এলাকায় বাবু ইসলামের ছিন্নবিচ্ছিন্ন মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন অনেকে। পরে রেল পুলিশ এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহতের ভাই মামুন বলেন, ভাবী শুধু আমার ভাইয়ের মোবাইলে ফোন করলেই আমার ভাই প্রাণে বেঁচে যেত।কিন্তু তিনি তা না করে ভাইকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিয়েছে।

রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহীদুল্লাহ বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে সিলেটগামী তুর্না নিশিতা ট্রেনে কাটা পরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে।

তথ্য সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন

About The Author