দ্বিতীয় জানাজা শেষে জামালপুরে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম।
শুক্রবার (১৬ জুন) সকাল ১০টায় উপজেলার বকশীগঞ্জের নূর মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য দেন জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা, অনলাইন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম, বকশীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহীন আল-আমীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আগা সায়েম, বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম তালুকদার জুম্মান, বকশীগঞ্জ থানার ওসি সোহেল রানা, জেলা পরিষদের সদস্য জয়নাল আবেদীন, নিহত নাদিমের বড় ছেলে রিফাত প্রমুখ।
সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম উপজেলার নিলাখিয়া ইউনিয়নের গোমের চর গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে। গুরুতর আহত নাদিম বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ময়মনসিংহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
জানা গেছে, বুধবার অফিসের কাজ শেষে রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন গোলাম রাব্বানী নাদিম ও তার সহকর্মী আল মুজাহিদ বাবু। পথে বকশিগঞ্জ পাথাটিয়ায় পৌঁছালে সামনে থেকে অতর্কিত আঘাত করে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে তাকে ফেলে দেওয়া হয়।
এরপর দেশিয় অস্ত্রধারী ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত তাকে সড়ক থেকে মারধর করতে করতে টেনে-হিঁচড়ে অন্ধকার গলিতে নিয়ে যায় এবং তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। সেসময় সহকর্মী মুজাহিদ তাদের আটকাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।
এর আগে, গত ১৪ মে ময়মনসিংহ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে জামালপুরে নাদিমসহ দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদুল আলম বাবু। ১৪ জুন মামলাটি খারিজ করেন আদালত।
নিহত গোলাম রব্বানির স্ত্রী মনিরা বেগম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। আগেও তিনি নানাভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করেছেন। ওই ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজনই হামলা করে আমার স্বামীকে হত্যা করেছেন।
নাদিমের মৃত্যুর পর জামালপুর জেলাসহ সারা দেশে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
সূত্রঃ ইত্তেফাক
Aninda, Sub-Editor