রাজধানীর উত্তরায় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে।

ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ছে। ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন জানিয়েছেন, সংঘর্ষের সময় অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। উত্তরা ১১ নং সেক্টরের ১নং রোডে অবস্থিত ভুবন লন্ড্রি হাউজের মালিক দুলাল হাওলাদার ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তাহমিদ হুজাইফা গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। হেলমেট পরিহিত কেউ কেউ পিস্তল নিয়ে গুলিও করতে দেখেছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।

শুক্রবার বিকেলে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে মাইলস্টোন কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণমিছিল কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল। তাদের এই কর্মসূচি সামনে রেখে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ারের সামনে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা মাইলস্টোন কলেজের সামনে অবস্থান নেয়।

উত্তরায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ

ছবিঃ সংগৃহীত

বিকেল সোয়া ৪টার পর আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা মাইলস্টোন কলেজের দিকে থাকা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ধাওয়া। এ সময় পুলিশও শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয় এবং সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পুলিশের লাঠিচার্জ, গুলি ও টিয়ারশেল থেকে বাঁচতে অনেকেই বিভিন্ন ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা ফেসবুকের মাধ্যমে সহায়তার আবেদন জানাচ্ছেন। ফেসবুকে এই তথ্য পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় উত্তরা ১১নং সেক্টরের ১নং রোডে অবস্থিত ভুবন লন্ড্রি হাউজের মালিক দুলাল হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। তাকে উত্তরার ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে শোনা গেলেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সূত্রঃ ঢাকা পোস্ট