সাভারে নিখোঁজ কলেজ অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে র‌্যাব। আজ  আশুলিয়ার বেরণ এলাকার নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় নিহতের লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।

এসময় হত্যাকারীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মৃতদেহের ৫টি খন্ড উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের পরিচায় জানা যায়নি। নিখোঁজ মিন্টু চন্দ্র বর্মণ (৩৬) লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউপির বাড়াইপাড়া গ্রামের শরত বর্মনের ছেলে। তিনি মোতালেব, শামসুজ্জামান ও রবিউল ইসলাম নামে তিন ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে গত দুই বছর আগে আশুলিয়ার বেরন এলাকায় জাহিদুল ইসলামের বাড়ি ভাড়া নিয়ে সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর থেকে পার্শ্ববর্তী স্বপ্ন নিবাসে ভাড়া থেকে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

র‌্যাব-৪, সিপিসি ২ এর লে. কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খাঁন বলেন, কলেজ অধ্যক্ষ নিখোঁজের ঘটনায় গত ২২শে জুলাই আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পর পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবও তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিজ প্রতিষ্ঠানের মাটির নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন।

এর আগে গত ১৩ জুলাই সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণ আশুলিয়ার জামগড়া বেরন এলাকার স্বপ্ন নিবাস নামক বাসা থেকে নিখোঁজ হন। এরপর থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও কোন সন্ধ্যান না পাওয়ায় গত ২২ জুলাই তার ছোট ভাই দীপক চন্দ্র বর্মণ আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।