বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ আর নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে মারা যান তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
বেশ কয়েকদিন তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। এর আগে করোনা আক্রান্ত হলে তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসার পর করোনা নেগেটিভ হলে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে থাকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আনার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক অবনতি হলে তাকে গত রবিবার দুপুরে লাইফ সাপোর্টে নেন চিকিৎসকরা।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কচিকাঁচা ভবনে তার প্রথম জানাজা বেলা ১১টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে বাদ জোহর দ্বিতীয় জানাজা শেষে গোপালগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
জীবনের বার্ধক্যবেলাতেও মনের বয়সকে বাড়তে দেননি ইব্রাহিম খালেদ। উচ্ছল, প্রাণবন্ত, মননে তরুণ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ব্যাংক, পুঁজিবাজার, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জটিল হিসাব নিকাশ করেছেন জীবনভর। আর জীবনটা পার করেছেন সহজ সরলভাবে। কর্মজীবনের তুমুল ব্যস্ততার মাঝেও,পছন্দ করতেন শিশু কিশোরদের সান্নিধ্য। জীবনের শেষ পর্যন্ত অঙ্গাঙ্গি যুক্ত ছিলেন কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার আসরের সঙ্গে।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের কর্মজীবন শুরু ১৯৬৩ সালে। ৪টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পাশাপাশি সামলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরের দায়িত্ব। ব্যাংকটির স্বতন্ত্র পরিচালক ছিলেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। বহুমুখী কর্মজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিলো ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধসের পর, তদন্ত প্রতিবেদন প্রণয়ন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুশাসন নিয়েও গণমাধ্যমে সরব ছিলেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুগোলে মাস্টার্স এবং আইবিএ থেকে এমবিএ করা খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ জন্মেছিলেন ১৯৪১ সালের ৪ঠা জুলাই, গোপালগঞ্জে।
সূত্রঃ ভোরের কাগজ