বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ২০জনেরও বেশী সাংবাদিক দায়িত্ব পালনকালে মারধরের স্বীকার হয়ে মারাত্মক আহত হয়েছেন। সাংবাদিকদের উপর কেন হামলা হবে?
যে কোন দলের কোন সমাবেশ কাভার করতে বা সংবাদ সংগ্রহ করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকরা তাদের দায়িত্ব পালন করেন। তাদের কে কেন পেটাবে? তারা কেন আহত হবেন? এসব প্রশ্নের উত্তর কি কেউ দিতে পারবে?
সাংবাদিকতা পেশাটাই এমন, নেশার মতো। কি হবে এটা ভাবা হয় না, সংবাদ তুলে আনতে হবে সঠিকভাবে এটাই দায়িত্ব। অথচ তারাই টার্গেট হয়। সাংবাদিকদের মধ্যে রাজনৈতিক সমর্থন আছে, কিন্তু সেটা ব্যাক্তিগত। গতকাল যারা কাকরাইল সহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলো তারা তো কোন দলে হয়ে যায়নি। তারা সাংবাদিকতার দায়িত্ব থেকে গিয়েছে।
আহত সাংবাদিকদের নিয়ে নানা সমবেদনা বা প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন। কিন্তু যে প্রতিষ্ঠানের হয়ে তারা দায়িত্বপালন কালে আহত হয়েছেন সে সংবাদ প্রতিষ্ঠান বা সাংবাদিক সংগঠন গুলোতাদের জন্য কতটুকু দায়িত্ব পালন করেছেন তা আমার জানা নেই।
দৈনিক প্রথম আলোর সূত্র মতে বিএনপির মহাসমাবেশ কাভার করতে গিয়ে ২০ জনের বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছেন। প্রশাসন বা অন্য দল গুলোর ভূমিকা কতটুকু?
গতকাল বিএনপির সমাবেশে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কাকরাইল, বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা ও শান্তিনগর এলাকায় যেসব সাংবাদিক আহত হয়েছেন তাদের তালিকা-
”আহত সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন, ইত্তেফাক–এর তানভীর আহাম্মেদ ও শেখ নাছের; কালবেলা–এর রাফসান জানি, জনি রায়হান, আবু সালেহ মুসা, রবিউল ইসলাম ও তৌহিদুল ইসলাম; বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদক সালমান তারেক, সাজ্জাদ হোসেন, জোবায়ের আহমেদ; ইনকিলাব–এর এফ এ মাসুম, একুশে টিভির তৌহিদুর রহমান ও আরিফুর রহমান, দেশ রূপান্তর–এর আরিফুর রহমান, ভোরের কাগজ–এর মাসুদ পারভেজ আনিস, সময় টিভির মারুফ ও ঢাকা টাইমস–এর প্রতিবেদক সিরাজুল সালেকীন প্রমুখ। তাঁদের মধ্যে রাফসান জানি ও সিরাজুল সালেকীন গুরুতর আহত বলে জানা গেছে।” সূত্র- প্রথম আলো।
আমি একজন সংবাদকর্মী হিসেবে বলবো- বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নিন্দা ও প্রতিবাদ লিপি জানাচ্ছেন। শুধু প্রতিবাদ ও নিন্দা পর্যন্ত থেমে না থেকে সাংবাদিকদের জন্য কিছু করুন। বর্তমান সরকার এর কাছেও অনুরোধ থাকবে দায়িত্বপালন কালে সাংবাদিকরা জেনো আর এমন ঘটনার স্বীকার না হোন সে বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখার ।
–মোহাম্মদ মহসীন (প্রধান সম্পাদক), ইনিউজ আপ.কম।
Aninda, Sub-Editor