শীত মানেই সাহেবি সাজ কোট বুট হ্যাট- এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। শীতের রাত হোক বা দিন,শীতের সাজে শাড়িতেই হয়ে ওঠা যায় আধুনিকা। তবে সাজসজ্জা হতে হবে ঝলমলে। মেকআপ, হেয়ার স্টাইল, গয়নাগাঁটি, ব্লাউজ, সব কিছুর মধ্যে সাদৃশ্য থাকতে হবে।

এ ছাড়া বাঙালি নারীর সঙ্গে শাড়ি শব্দটি যেন অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। বাঙালি নারী বলতে যেন একজন শাড়ি পরিহিতাকেই আমরা মনের চোখে ইমাজিন করি। সময়ের প্রেক্ষাপটে বাঙালি নারীর বসনে এসেছে নানা সাজ, বিভিন্ন রূপ। তবু শাড়িতেই যেনো সবচেয়ে সুন্দর নারী।

বাংলাদেশে শাড়ি শিল্প বেশ পুরনো এবং প্রসিদ্ধ। যুগের সঙ্গে শাড়ির রংচং আর উপাদানেও ঘটেছে বিশেষ পরিবর্তন। প্রস্তুতকরণে আলাদা হিসেব। নকশায়, ডিজাইনে। অনেক আগে আমাদের মসলিন শাড়ি দারুণ প্রভাব করেছিল। অবাক করেছিল বিশ্বকে। একটা সময় মসলিন শাড়ির চল উঠে গেছে।

শীতের সাজ

মডেল: মাহবুবা রাখী

আমাদের মধ্যে এখন জামদানি-প্রীতি কাজ করে। কিন্তু বিশেষ দিনগুলোতে বাঙালি নারীদের অধিকাংশকেই দেখা যায় শাড়িতে। শুধু বিশেষ দিনগুলোতেই নয়, বাঙালি নারীর বিয়ে যেন বেনারসি ছাড়া চিন্তাই করা যায় না। এমনকি অনেক করপোরেট ক্ষেত্রেও শাড়ি ইদানীং একটি আধুনিক ফ্যাশন।

তবে শীতে শাড়ির সঙ্গে শাল ছাড়া তেমন কোনো বৈচিত্র্য দেখা যায় না। এতে শাড়ির সঙ্গেও ফ্যাশন ঠিক থাকবে, কারণ চাইলে শাড়ির সঙ্গী করে নিতে পারেন, হাল ফ্যাশনের কোটি, সোয়াটার বা ব্লেজার। যেভাবে ব্যবহার করতে হবে :

  •  লম্বা কোটি পরে নিন আর শাড়ির আঁচল গলায় ওড়নার স্টাইলে পেঁচিয়ে নিন।
  •  ব্লেজার বা কোট যাই থাকুক না কেন, শাড়ি পরার পর উপরে চাপিয়ে নিন। কোটের বোতাম লাগাবেন না।
  • শাড়ির সঙ্গে হাফহাতা বা ফুলহাতা সোয়াটার ব্লাউজের মতো পরুন।
  • শাড়ি পরে তার উপর জ্যাকেট চাপিয়ে নিন। স্টাইলও বজায় থাকবে আর ঠান্ডাও লাগবে না।

শালেও কিন্তু ফ্যাশনের কোনো ক্ষতি হয় না বরং শাড়ির সঙ্গে একটি পশমিনা কাশ্মীরি শালের প্রশংসাই করবে সবাই।

তথ্যসূত্রঃ সংগৃহীত