গত ৭ বছরেও গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করেনি সিটি করপোরেশন। কসাইরা দোষ দিচ্ছে ব্যবসায়ীদের আর ব্যবসায়ীদের অভিযোগ খামারিদের ওপর। মাঝ থেকে মাংস সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি সাধারণ ভোক্তা।

২০১৭ সালে গরুর মাংসের দাম ৩২০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সিটি কর্পোরেশন। এরপর থেকে প্রতিবছর নিজেদের মতো করে দাম বাড়ায় আর কমায় মাংস ব্যবসায়ীরা।

সর্বশেষ ৮০০ টাকা দাঁড়ায় প্রতি কেজি গরুর মাংস। তবে এ বছর ৬৬৫ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে সরকার। যা মানতে পারছেনা কসাইরা।

রাজধানীর মিরপুর, পুরান ঢাকা ও শাহজাহানপুরের কিছু কসাইয়েরা ৬০০ টাকার নিচে গরুর মাংস বিক্রি করছেন।

ক্রেতারা জানান, বাইরে দেখা গেছে ৭৮০-৮০০ টাকা করে বিক্রি করছে কিন্তু এখনে ৬শ’ করে পাওয়া যাচ্ছে। সরকার ইচ্ছে করলে অনেক কিছু করতে পারে, এরকম খলিলের মতো আরও খলিল ইচ্ছা করলে সরকার বানাতে পারে। সরকার একটা সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে গেছে।

গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচিত খলিলের অভিমত, সরকার খামারিদের লোন সুবিধা দিচ্ছে। কিন্তু তারা খুচরা ব্যবসায়ীদের গরু দিচ্ছে না। আবার ঈদের সময় ১০ থেকে ৩০ লাখ টাকায় গরু বিক্রি করে তারা।

মাংস বিক্রেতা মো. খলিল বলেন, “রমজানে পৃথিবীর সব দেশে পণ্যের দাম কমিয়ে দেয়। ওইদিকটা চিন্তা করে আমি আল্লাহর রহমতের মাসে দাম কমিয়ে দিয়েছি। ১৫-২০ যদি বর্ডার খুলে দেয় তাহলে বাংলাদেশের ক্রেতারা ৫শ’ টাকা দরে মাংস পেতে পারেন। যেটা ৮ লাখ টাকার গরু সেটা বিক্রি করে ২০ লাখ টাকায়। যদি গরু আসে তাহলে ওনাদের মুনাফা কমে যাবে। তাতে খামারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।”

সরকার সিন্ডিকেট ভাঙ্গার ঘোষণা দিয়ে তাদের সঙ্গে আঁতাত করছে বলে অভিযোগ করেন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি।

বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন,

“অস্বাভাবিক মাংসের দামের প্রতিযোগিতা। এটা ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের দুই মেয়রের একজনও তদারকি করছেন না। নির্দিষ্ট হারে মাংসের মূল্য নির্ধারণ করা উচিত। সরকার একদিকে বলে সিন্ডিকেটের দাঁত ভেঙ্গে দেবো, আরেকদিকে সেই সিন্ডিকেটের সঙ্গে বসে। প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভেতরে লুকিয়ে থাকা চক্রের জালে আমরা পড়ে আছি।”

সরকার খামারিদের কাছ থেকে গরুর মাংস নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে ৬০০ টাকায় বিক্রি করছে। এখানেও তারা সুবিধা পাচ্ছে বলে অভিযোগ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির।

সূত্রঃ একুশে টিভি