বাফুফের অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক ফ্যাসিস্টদের প্রাধান্য নিয়ে জুলাই রেভ্যুলেশনারি এলায়েন্স এর পক্ষ থেকে নিন্দা ও প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।

বাফুফের অনুষ্ঠানে ফ্যাসিস্টদের প্রাধান্য নিয়ে জুলাই রেভ্যুলেশনারি এলায়েন্স এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি হুবুহু তুলে ধরা হলো।

বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদী মডেল আজ আমাদের জাতির অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে এদের সাংস্কৃতিক উইং, যা জনগণের কণ্ঠরোধে ভূমিকা রেখেছে।

বাফুফের অনুষ্ঠানে ফ্যাসিস্টদের

সম্প্রতি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আয়োজিত ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’-এ “আলো আসবেই” হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের প্রতিনিধিকে মধ্যমণি করা হয়েছে। বিশেষ করে আশনা হাবিব ভাবনার মতো ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় মঞ্চে এনে এ উৎসবকে বিতর্কিত করা হয়েছে। আমরা মনে করি, এটি কেবল জাতির অনুভূতির প্রতি অবজ্ঞাই নয়, বরং একটি প্রহসন।

‘আলো আসবেই’ গ্রুপটি, যা মূলত আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে, তাদের এই ধরনের সরকারি আয়োজনে প্রাধান্য দেওয়া সরাসরি জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। বিশেষ করে, জুলাই মাসে সংঘটিত রক্তাক্ত গণহত্যার পেছনে যারা ভূমিকা রেখেছিল, তাদেরকে এমনভাবে সম্মানিত করা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়।

  • আমরা, জুলাই রেভ্যুলেশনারী এলায়েন্স, এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং নিম্নলিখিত দাবি জানাচ্ছি :‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সদস্যদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও তাদের কর্মকাণ্ডের তদন্ত করা।

  • বাফুফের মতো রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর আয়োজনে সাংস্কৃতিক ফ্যাসিস্টদের অংশগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা ।

  • আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক উইং সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত করা এবং তাদের অপকর্মের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করা ৷

  • ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’-এর মতো আয়োজনে যারা জাতির ঐতিহাসিক ক্ষতকে উপহাস করে, তাদের আইনের আওতায় আনা ৷

আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, জনগণ এ ধরনের অন্যায় কোনোভাবেই সহ্য করবে না। সময় এসেছে সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদের শেকল ভেঙে দেওয়ার। দেশের সকল মুক্তিকামী মানুষকে এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই ৷

–ফানতাসির মাহমুদ, মুখপাত্র, জুলাই রেভ্যুলেশনারি এলায়েন্স