প্রবাসে প্রায় সাড়ে পাঁচ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

শুক্রবার সকালে কাতার এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তুরস্ক থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এ সময় মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘পরাজিত ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা বিদেশি ‘প্রভু’ ও বাংলাদেশের এজেন্টদের দিয়ে ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে নস্যাৎ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন, ষড়যন্ত্র করছেন। আপনাদের (উপস্থিত সাংবাদিক) কাছে আমার অনুরোধ, আপনাদের মধ্যে যেন অনৈক্য না আসে। আপনাদের ঐক্যে ফাটল ধরে যাতে বাংলাদেশে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিতে না পারে।’

মাহমুদুর রহমান বিমানবন্দরে পৌঁছলে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতারা। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘মাতৃভূমিতে আসতে পেরে মহান আল্লাহতায়ালার দরবারে হাজার শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। সেই সঙ্গে ছাত্র-জনতার মহান বিপ্লবে যারা শহীদ হয়ে ভারতের দালাল শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ উৎখাত করেছেন, তাদের বিদেহী আত্মার উদ্দেশে পরম কৃতজ্ঞতা ও অকৃত্রিম শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।’

তিনি বলেন, শহীদ আবু সাঈদ নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে ফ্যাসিজমকে কবর দিয়েছেন। একসময় বাংলাদেশের যে তরুণরা কিউবা বিপ্লবের নায়ক চে গুয়েভারাকে বিপ্লবের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করত, সেই তরুণরা এখন আবু সাঈদকে তাদের আদর্শ হিসেবে জানে। এ বিপ্লবের আইকনের নাম আবু সাঈদ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে শহীদ হওয়া তিতুমীরের মতো পরম শ্রদ্ধাভরে আবু সাঈদদেরও অনুভব করবে মানুষ।

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সারাদেশে ১২৪টির বেশি মামলা হয়। একটিতে মাহমুদুর রহমান ও তাঁর স্ত্রীকে সাত বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। তাঁকে কারা নির্যাতনও ভোগ করতে হয়।

প্রথম দফায় ২০১০ সালের জুন মাসে ও দ্বিতীয় দফায় ২০১৩ সালের এপ্রিলে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং তাঁর সম্পাদিত আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দেয়। সে সময় গ্রেপ্তারের পর তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

সূত্রঃ সমকাল