কোনো এক তরুণ রোদে কেমন অবাধ্য রেনু উড়িয়ে চোখে মুখে যে আবেশ ছড়িয়েছিলে…
চূড়ান্ত মুগ্ধতায় আমি এখনো চোখ বন্ধ করি।

বিবর্ণ সময়টাতে চোখ ধাধানো লাল রঙের আঁচড়ে ক্যানভাসের প্রতিটি কোণ যেভাবে ঠেসে দিয়েছিলে…
শত আল্পনার ভীড়েও জ্বলে ওঠে তা স্বমহিমায়।

তোমার সৌন্দর্যে ধেয়ে আসা কত নাম না জানা পাখির কলতান ভেঙে দিত সুনসান দুপুরের নীরবতা, যেমনি নীরব আমার ভেতর কত কথার ফুলঝুরি তৈরি হতো…
এখনো বুনন করে যাই গল্প,কবিতায়।

তুমিই তো শিখিয়েছিলে আগুন জ্বলা রোদেও কিভাবে সতেজ,স্নিগ্ধ থাকতে হয়..
চলে যাওয়া অনেকটা বছর পরও যে একই ভাবে তা ভেতর ঘরে লালন করি।

পোড়া রোদে,গুমোট মেঘে,অবিরাম ঝরে যাওয়া বৃষ্টিতে তোমার মেলে ধরা পাপড়িতে রোদ ছায়ার খেলা যেন নব প্রেমে পড়া ষোড়শীর গালে খেলে যাওয়া লুকোচুরি আভা পেখম মেলতো…
আমি এখনোও ধুসর সময়ে রাঙিয়ে নেই।

তোমার কাছ থেকেই জেনেছি গন্ধহীন হয়েও কেমন মাদকাময় হওয়া যায়…
আমি এখনো আসক্ত হয়ে আছি।

কৃষ্ণচূড়া! তুমি কি জানো !
আমি আজন্ম তোমার কাছে ঋণী থেকেও…
প্রতিদিন তোমাতেই পূর্ণতা পাই।

লেখক- জেসমীন আক্তার