ভারতের গুজরাট উপকূলে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৮টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’।

এ সময় ঝড়টি অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে এমনটাই বলেছে, দেশটির আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি)।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে বাংলাদেশের নাম রাখা এই ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান ছিল জখৌ বন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণপশ্চিমে।

উপকূলে আঘাত হানার পর ঝড়ের ফলে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস ২ থেকে ৩ মিটার উচু হতে পারে, ফলে উপকূলীয় নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। কিছু কিছু স্থানে জোয়ারের পানি ৩ থেকে ৬ মিটার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে জানিয়েছে আইএমডি।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশটির জাতীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ বাহিনীর (এনডিআরএফ) ১৮টি দল, গুজরাট রাজ্যের দুর্যোগ প্রতিরোধ বাহিনীর ১২টি দল ও অন্যান্য সেবা খাতের আরও শতাধিক দলকে এরই মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে।

এ ছাড়া গুজরাটের উপকূলীয় জেলা কুচ, জামনাগার, মরবি, রাজকোট, দেবভূমি দারকা, জুনাগধ, পরবান্দার ও গির সোমনাথের ৭৪ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে অস্থায়ী নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ভারতের ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও নিরাপদ ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করতে ৭৬টি ট্রেন যাত্রা বাতিল করেছে। এ ছাড়া গুজরাটের দুটি বিখ্যাত মন্দির দ্বারকাদিশ ও সোমনাথ দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকবে।

বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে সোমবার বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র পটেলের সঙ্গে ফোনালাপে বিপর্যয় মোকাবিলায় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন মোদি।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, নয়াদিল্লি ও উত্তর প্রদেশে। সামনের ৪ দিন এই অঞ্চলগুলোতে বৃষ্টি হতে পারে এবং সঙ্গে বইতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া।

ঘূর্ণিঝড়ের এই শঙ্কার মধ্যেই বৃহস্পতিবার বিকেলে ৩.৫ মাত্রার মৃদু ভূমিকম্প আঘাত কেপে উঠেছিল গুজরাট। তবে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

সূত্রঃ প্রতিদিনের বাংলাদেশ