কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাতে রাজধানীতে দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে উত্তরায় নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষার্থী ও বাড্ডা-রামপুরা এলাকায় একজন চালক রয়েছেন।

তাৎক্ষণিক নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত দুই শিক্ষার্থীর নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। আর বাড্ডা-রামপুরা এলাকায় নিহতের নাম দুলাল মাতবর বলে জানা গেছে। তিনি পেশায় গাড়ি চালক। সংঘাতের সময় তিনি একটি হাইএস গাড়ি চালিয়ে ওই এলাকা পার হচ্ছিলেন।

বাংলাদেশ মেডিক্যালের চিকিৎসক ডা. রুকনুজ্জামান দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

রাজধানীর উত্তরায় বেলা ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় ঢাকা–ময়মনসিংহ সড়কের উত্তরা অংশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আন্দোলনকারীরা হাউজ বিল্ডিং থেকে রাজলক্ষী মোড় পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নেয়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সময় সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।

এর আগে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা উত্তরার জমজম টাওয়ারের সামনে জড়ো হন। পরে তারা মিছিল নিয়ে মূল সড়কে উঠতে চাইলে পুলিশ ও র‍্যাব তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পরে সংঘর্ষ শুরু হয়।

এদিকে বাড্ডা-রামপুরা এলাকায় পুলিশ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাতে আহত দুলাল মাতবর আহত হন বলে জানা যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গুরুতর অবস্থায় তাকে ফরাজি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রুবেল হোসেন বলেন, নিহতের মরদেহে বুকের কাছে একটি গোল ক্ষত চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এটি বুলেটের ক্ষত কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

এদিকে এই দুই জায়গায় শিক্ষার্থী ও পুলিশ মিলিয়ে দুই শতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

সূত্রঃ প্রতিদিনের বাংলাদেশ