রাজধানীর উত্তরায় ১৮ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী জাহিদুজ্জামান তানভীন। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে এখন পাগলপ্রায় তার মা।

৭ই আগষ্ট ইনিউজ আপ এর প্রতিবেদক শিক্ষার্থীদের ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানের প্রতিবেদন করতে গিয়ে রাস্তায় ক্রন্দনরত শহীদ জাহিদুজ্জামান তানভীন এর মা মা বিলকিস জামান কে পান এবং তার ভিডিও বক্তব্য ধারণ করেন। নীচে তার ভিডিওটির লিংক দেয়া হলো।

বিলকিস জামান বলেন, ‘আমার ছেলে দেশের জন্য শহীদ হয়েছেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতে স্থান দেবেন। আজ তাদের জন্য নতুন দেশ হলো, সরকার হলো। আমি আমার ছেলের এবং অন্য শহীদদের মায়ের পক্ষ থেকে খুনীদের কঠিন শাস্তি চাই।

জাহিদুজ্জামান তানভীন মা-বাবা আর এক বোনকে নিয়ে থাকতেন উত্তরা আজমপুর কাঁচাবাজার জামতলার ভাড়া বাড়িতে। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

জাহিদুজ্জামান তানভীনের মা ইনিউজআপ এর সাংবাদিককে  বলেন, তানভীন অত্যন্ত মেধাবী ছিলো, বুয়েটের মেধা প্রতিযোগীতায় একবার ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার পেয়েছিলো।

জাহিদুজ্জামান তানভীনের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ডিটি ভিশারা গ্রামে। তার বাবা শামসুজ্জামানও একজন ইঞ্জিনিয়ার। বৃহস্পতিবার সকালে আজমপুর ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য বের হয়েছিলেন তিনি। বারোটার দিকে সংবাদ পান ভাগ্নে গুলিবিদ্ধ হয়ে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আছেন। এরপর হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারেন আদরের ভাগ্নে মারা গেছেন।

তানভীনের মামা আরও জানান, তার ভাগ্নে ও চারজন বন্ধু মিলে এনএনটিএস ড্রোন কোম্পানি খুলেছিলেন। আজ দেশের জন্য তার ভাগ্নে জীবন দিয়েছেন। দেশ ও স্বাধীন হয়েছে। আমার ভাগ্নের মতো নিহত ও আহত যারা করেছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

তথ্যসূত্রঃ সমকাল