উত্তর কাফরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে সংগঠন এক্স স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অব উত্তর কাফরুল হাই স্কুল (এসাক্স) এর ১৩ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ উত্তর কাফরুল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আনন্দঘন পরিবেশে এসাক্স এর এই উৎসব বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত নানা আয়োজনের মধ্য দিয়েেউদযাপন করা হয়।
ইনিউজ আপ ডট কম এর প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ মহসীন এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। তার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন-
“এ এক অন্যরকম অনুভূতি। পুরনো শিক্ষকদের কাছে পেয়ে সেই স্কুলে পড়ার স্মৃতি গুলো ভেসে উঠলো চোখের সামনে। আমরা সে সময় শিক্ষকদের গুরু হিসেবে অনেক সম্মান করতাম, তারাও শাসনের পাশাপাশি আমাদের অনেক স্নেহ করতেন। যা এখনো অটুট আছে। তাদের কাছে পেয়ে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
দুঃখজনক আজকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেই বিষয়টি নেই। আবার শিক্ষদের মধ্যেও নেই। আশা করবো শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি বন্ধন তৈরী হবে। সাথে আরো পুরনো বন্ধু, সিনিয়র ভাই বোনদের পেয়ে অনেক ভালো লেগেছে। এসাক্স কে ধন্যবাদ জানাই এরকম আয়োজনের জন্য। এসাক্স এর এই মিলন মেলা অব্যাহত থাকুক এই দোয়া রইলো।”
ইনিউজ আপ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর তসলিম উদ্দিন লিটন এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এই উৎসবের বিষয়ে তিনি বলেন-
আজকের অনুষ্ঠান নিয়ে অনুভূতির কথা বলতে গেলে প্রথমেই চলে এসাক্সের কথা। আমাদের উত্তর কাফরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের একটা গ্রুপ আছে, সেটার সংক্ষিপ্ত রুপ হলো এসাক্স। এই এসাক্সের আজকে ছিল ১৩ তম বর্ষপূর্তি। যার মূল প্রতিপাদ্য স্লোগান হলো “এসো মিলি মনের টানে, প্রানের উচ্ছাসে”।
“স্কুলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে বেশ গর্বিত মনে হচ্ছে। কেননা এই ধরনের অনুষ্ঠানে স্কুলের সিনিয়র ভাই, বোন ও জুনিয়রদের দেখা মিলে থাকে। তাদের সাথে কুশলাদি বিনিময়ের মাধ্যমে পুরাতন অনেক স্মৃতিচারন করতে আনন্দে মশগুল থাকতে ভালোই লাগে। সবচেয়ে বড় বিষয় যেটা আমার স্কুলের ক্লাসের সকল বন্ধু ও বান্ধবীদের সাথে দেখা হওয়া এবং তাদের সাথে পুরাতন স্মৃতিচারন নিয়ে খুনসুটি করতে করতে আবেগ তাড়িত, এ রকম বহু বিষয় চলে আসে। যাই হোক এক কথায় অসাধারণ একটা উৎসব হয়েছে, যা মনের গভীরে বহুদিন থাকবে। ধন্যবাদ এসাক্স কে এই রকম একটা মিলন মেলার আয়োজন করার জন্য।”
নানা রকমের মজাদার পিঠা ও গরম গরম খিচুরী-চুইঝাল এর ব্যাবস্থা ছিলো। অনুষ্ঠানে কফি, ঘরের তৈরী কেক, মাসের পিঠা ও রকমারী খাবারের ষ্টল ছিলো। রাতে নাচ ও গানের মধ্য দিয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হয়।
— নিউজ ডেস্ক