চট্টগ্রাম নগরে পূজামণ্ডপে ‘ইসলামিক সংগীত’ পরিবেশনের ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কি-না, তা জানতে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মুখপাত্র উপকমিশনার রইছ উদ্দীন।শুক্রবার সকাল সাড়ে ১২ টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

রইছ উদ্দীন বলেন, ‘পূজামণ্ডপে ‘ইসলামিক সংগীত’ পরিবেশনের ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আটক দুজন হলেন তানজিমুল উম্মাহ মাদ্রাসার শিক্ষক শহীদুল করিম ও দারুল ইরফান একাডেমির শিক্ষক নুরুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের পৃথক স্থান থেকে এই দুজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি সজল দত্তের আমন্ত্রণে তারা সেখানে সংগীত পরিবেশন করেছেন। সজলের অনুরোধে তারা ছয়জন মঞ্চে উঠে সংগীত পরিবেশন করেন।’

উপকমিশনার রইছ উদ্দীন বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সজল দত্তের খোঁজ করছি। এখনো তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কি-না, তা জানতে আমরা কাজ করছি।’

ওদিকে এর আগে এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছিল বলে আজ সকালে জানিয়েছিলেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ।

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি নামের একটি গানের দল ‘ইসলামিক সংগীত’ পরিবেশন করে। সেই গানের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র আলোচনা-সমালোচনায় মাতেন নেটিজেনরা।

সূত্রঃ মানবজমিন