তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের পর অতিবাহিত হয়েছে এক সপ্তাহ। এসময়ের মধ্যে দেশ দুটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার। স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানা যায়। উদ্ধার তৎপরতা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
জানা যায়, তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ হাজার ৬০৫-এ পৌঁছেছে। সিরিয়ায় নিহত হয়েছে সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি। খবর আল জাজিরার।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার ভোরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এতে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এদিকে তুরস্কে ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া অনেক ভবনের নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ১১৩টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, পুলিশ এরই মধ্যে ভবন নির্মাণ ঠিকাদারসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। যদিও অনেকে মনে করছেন, এই বিপর্যয়ের সার্বিক দায় অন্যের দিকে ঠেলে দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ এসব করছে।
অন্যদিকে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কে ভেঙে পড়া ভবন থেকে লুটপাট ও ডাকাতি এবং ভুক্তভোগীদের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে ৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
পরিচয় প্রকাশ না করা শর্তের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলের হাতায়ে প্রদেশের ৪২ সন্দেহভাজনকে ঘিরে তদন্ত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন থেকে লুটের অভিযোগ রয়েছে।
ওই সূত্রের বরাতে আনাদুলু জানিয়েছে, ৪০ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিরাপত্তা দল ছয়টি বন্দুক, তিনটি রাইফেল, স্বর্ণালঙ্কার, ব্যাংক কার্ড, নগদ ১১ হাজার ডলার ও ৭০ হাজার লিরা জব্দ করা হয়েছে।
হাতায়ে প্রদেশে ত্রাণকর্মীকে হুমকি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ ছয় ট্রাকভর্তি খাদ্য লুটের দায়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইস্তানবুলে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা দক্ষিণাঞ্চলের গাজিয়ান্তেপ প্রদেশের ভুক্তভোগীদের সঙ্গে ফোনে প্রতারণা করেছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, এ পরিস্থিতিতে কেউ আইন ভঙ্গ করলে জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করবেন তিনি।
সূত্রঃ ইত্তেফাক
Aninda, Sub-Editor