জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার অন্তর্গত ফুলকোচা আলেয়া আজম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ ২০১৩ সাল থেকে নিতিমালা বিরোধী ও অবৈধ ভাবে নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বহাল তবিয়তে বিদ্যালয়ে পকেট কমিটি করণ, নিয়োগ বাণিজ্য,বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ,ধর্মীয় শিক্ষককে বরখাস্ত করণ,বিদ্যালয়ে টিন আত্মসাৎ,অবৈধ কমিটি গঠন,ইংরেজি শিক্ষককে বরখাস্ত করন,৪জন শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া ,বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সরকারি অনুদান আত্মসাৎ ও উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের বেতন গ্রহণ ও টিউশন ফি আত্মসাৎ করা সহ অসংখ্য অনিয়ম আর দুর্নীতি অভিযোগ থাকলেও একতরফা রাজত্ব চালিয়ে আসছে প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ। এমনটাই অভিযোগ ইউনিয়নবাসীদের।

এসব কর্মকাণ্ডের হিসাব আর তদন্ত করার মত কেউ নেই বলে দীর্ঘদিন যাবত সীমাহীন দুর্নীতি আর অনিয়ন করে আসছে হারুনুর রশিদ। অত্র ইউনিয়নবাসী ও অভিযোগকারীদের প্রশ্ন প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদের খুটির জোর কোথায়?

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-ছাত্রী,অভিভাবক ও অত্র এলাকার সুধী ব্যক্তিদের অভিযোগ, বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সহ অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রছাত্রীরা প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদের অপসারণ দাবী এর নিউজ প্রকাশিত হলেও বহাল তবিয়তে কর্মস্থলে রয়েছেন হারুন অর রশিদ।

অভিযোগ কারীদের দাবি হারুন অর রশিদের উক্ত অনিয়ম ও আত্মসাৎ দুর্নীতির মূল কারণ তিনি দীর্ঘদিন যাবত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে থেকে এসব কর্মকাণ্ড করে আসছেন। শুধু তাই নয়,প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদের অপসারণ সহ বিচার দাবি করে গত ২৫/০৮/২০২৪ ইং তারিখে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এছাড়াও প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে, জামালপুর জেলা প্রশাসক,জেলা শিক্ষা অফিসার,জেলা সেনা ক্যাম্প কমান্ডার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ রয়েছে বলে অভিযোগকারীরা অভিযোগ করেন।

— জামালপুর প্রতিনিধি