রাজধানীর কাফরুল,ইব্রাহীমপুরের স্টুডিও,ফটোকপি সহ অনেক দোকান/ ব্যাবসায়ী মানছেনা কঠোর লকডাউন। আইন আমান্য করে দোকানের শাটার অল্প খোলা রেখে করে যাচ্ছে ব্যাবসা।

রাজধানীর রজনীগন্ধা মার্কেট(কচুক্ষেত বাজার) সংলগ্ন উত্তর কাফরুল, ইব্রাহীমপুর সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ষ্টুডিও সহ লকডাউনের আওতাভূক্ত দোকান খোলা রাখা হচ্ছে, এতে বিপাকে পড়েছে রজনী গন্ধা সুপার মার্কেট এর ব্যাবসায়ীরা কারণ সেটি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অধীনে তাই নিয়ম কড়া। কিন্তু পাশেই যে দোকানটি বোর্ডের অধীনে নয় সে দোকান খোলা রেখে তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

যেমন কাফরুলে বেশ কয়েকটি ষ্টুডিও ও হার্ডওয়্যার এর দোকান আছে যেগুলোর মধ্যে সীমিত সংখ্যক বোর্ড এর অধীন, বাকী গুলো সিটি কর্পোরেশনের আওতাভূক্ত।

বোর্ড এর অধীন ষ্টুডিও দোকান সহ সব দোকান নিয়ম অনুযায়ী পুরোপুরী বন্ধ, কিন্তু সিটি কোর্পোরেশনের অধীনের বেশীর ভাগ ষ্টুডিও খোলা রেখেছে, যেমন- জোবা‌য়ের স্টুডিও , ফ‌টোফ্যাশন , ফ‌টো‌ভিশন , ফ‌টোপ্লাস , নিউ ফ্যাশন স্টু‌ডিও সহ হাবীব মার্কেটের নীচের অর্থাৎ ইসলা‌মি ব্যাং‌কের গ‌লির ভিত‌রে প্রায় ১০টি দোকান কোন নিয়ম না মেনেই দোকান খোলা রেখেছে।

আইনের চোখকে ধুলো দিয়ে কিংবা প্রশাসনকে হাত করে এসব ব্যাবসা খোলা রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। অথচ যারা নিয়ম মেনে দোকান বন্ধ রেখেছে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

নিয়মের তোয়াক্কা না করে, প্রশাসনের চোখে ধূলো দিয়ে ও করোনা সংক্রমণ রোধে এসব ব্যবসায়ী যেমন লাভবান হচ্ছেন তেমনই এসব দোকানে করোনার সংক্রমণ রোধে নেই কোন ব্যাবস্থা তাই সংক্রমণ বাড়ার আশংকা করছেন সেসব এলাকাবাসী।

শুধু ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান নয় কাফরুল ইব্রাহীমপুরের ভিতরে চলাচল করলে বোঝার উপায় নেই করোনা ভয়াবহ রুপ নিয়েছে কিংবা কঠোর লকডাউন চলছে। মাস্ক সহ বা মাস্ক বিহীন যে যেভাবে ইচ্ছে ঘুরছে আর বাড়ছে সংক্রমণ

প্রশাসন এ বিষয় আমলে নিয়ে সবার জন্যই আইন কঠোর করে বিশেষ ব্যাবস্থা নিবেন এই প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন এলাকাবাসী ও নিয়ম মানা ব্যাবসায়ীবৃন্দ।

— নিজস্ব প্রতিবেদক