প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন আজ।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বলেন, প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় হেলিকপটারযোগে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর পটুয়াখালী সফরকে ঘিরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্যোগকবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন। পিরোজপুর, বরগুনা ও পটুয়াখালী যাবেন।
১০০ কিলোমিটারের বেশি বাতাসের বেগ নিয়ে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় রেমালের সঙ্গে জলোচ্ছ্বাসে ধসে পড়ে উপকূলীয় এলাকার অনেক ঘর। ঝড়ে গাছপালা ভেঙেও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে মাছের ঘের। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পটুয়াখালীতে দফায় দফায় প্লাবিত হয়েছে চরাঞ্চলসহ শতাধিক গ্রাম। তলিয়ে যায় পৌরসভাসহ জেলার নিম্নাঞ্চল।
পটুয়াখালীর ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ জানান, প্লাবিত হয়ে ও ঝোড়ো বাতাসে জেলায় মোট ২৩৫টি আধাপাকা ও কাঁচা ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ ঘরবাড়ি। এর মধ্যে বিচ্ছিন্ন দ্বীপচর রাঙ্গাবালী উপজেলা ও কলাপাড়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। বহু গাছপালা উপড়ে গেছে। জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় উপজেলায় বেশ কিছু পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝোড়ো বাতাসে গাছ উপড়ে দুমকি ও বাউফলে দুই জন বৃদ্ধ নিহত হন। এছাড়া রবিবার কলাপাড়া উপজেলায় এক যুবক নিহত হন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন। সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৩টি এবং আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি ঘরবাড়ি।
সূত্রঃ ইত্তেফাক