রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশীপ এক্সিবিশন সেন্টারে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৩।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার আানুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। মেলার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।এবারে মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ১০টি দেশের ১৭টি বিদেশী প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। শনিবার বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশীপ এক্সিবিশন সেন্টারে মেলার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব তথ্য জানান।
বানিজ্যমন্ত্রী বলেন, স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টার একটু দূরে হলেও মেলায় অংশগ্রহণকারি ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। মেলার মাধ্যমে আমরা দেশে তৈরি পণ্য দেশী-বিদেশী ক্রেতাদের কাছে তুলে ধরার সুযোগ পাই। বাংলাদেশে তৈরি পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরাই মেলার মূল লক্ষ্য বলে তিনি জানান।তিনি বলেন, বাংলাদেশের পণ্যের মান বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিবছর রপ্তানি বাড়ছে।
গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রপ্তানি বেশি ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা দেশের অভ্যন্তরে ও বৈশ্বিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কেবলমাত্র টাকার অংকে মুনাফা করার উদ্দেশ্য মেলার আয়োজন করা হয় না। তিনি জানান, গতবছর মেলায় ২০০ কোটি টাকা মূল্যের পণ্য রপ্তানির স্পট আদেশ পাওয়া গিয়েছিল। প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের পাশাপাশি আরও ১০টি পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আইসিটি খুবই সম্ভাবনাময় পণ্য, স্বল্পতম সময়ে এ খাতের রপ্তানি ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে আশা করছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মেলায় খাবারের মান বজায় রাখার পাশাপাশি দাম যেন নির্ধারিত মূল্যের মধ্যে থাকে এ্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মেলায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, মেলায় যাতায়াতে যেন কোন ধরনের নিরাপত্তার ব্যাঘাত না ঘটে, সেজন্য পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
মেলায় যাতায়াত সুবিধার জন্য গতবারের মতো সার্টেল বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে। কুড়িল বিশ্ব রোড হতে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত প্রাথমিক ভাবে ৭০টি বিআরটিসি বাস চলাচল করবে, প্রয়োজনে এর সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ টাকা। মেলা চলাকালীন সময়ে বাস চলাচল করবে। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে, তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০ টা পর্যন্ত মেলা চলবে। এবারে মেলার প্রবেশ মূল্য প্রাপ্ত বয়ষ্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়ষ্কদের জন্য ২০ টাকা। মেলার টিকেট অনলাইনে কিনলে ৫০ শতাংশ ডিসকাইন্টের সুযোগ রয়েছে।
এছাড়া মেলায় প্রায় ১ হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা রয়েছে। এবার মেলায় দেশি-বিদেশি মিলে মেলায় মোট ৩৫১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন থাকবে। গতবার এই সংখ্যা ছিল ২২৫টি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Aninda, Sub-Editor