ইংরেজি মাধ্যম স্কুল স্কলাসটিকার ক্যারিয়ার গাইডেন্স কাউন্সিলর ইভানা লায়লা চৌধুরীর (৩২) মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে মামলা নিয়েছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে ইভানার বাবা আমান উল্লাহ চৌধুরী শাহবাগ থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে দুই জনের নামে এই মামলা করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন—ইভানার স্বামী আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান রুম্মান ও ইমপালস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক মুজিবুল হক মোল্লা।
থানা থেকে বেরিয়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. সরোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘৩০৬ ও ১০৯ ধারায় দুই জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
থানা থেকে বেরিয়ে ইভানার বাবা আমান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘গতকাল মামলা না নেওয়ায় হতাশ হয়ে বাসায় ফিরেছিলাম। আজ থানা থেকে ফোন করেছিল ওসি। উনাদের ডাকে এসেছি। আজ মামলা নিয়েছে। এখন সুষ্ঠু তদন্তের আশা করছি।’
উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পরীবাগের নকশী প্যালেসের দুইটি ভবনের মধ্যখানে ইভানা লায়লা চৌধুরীর লাশ পাওয়া যায়। ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে শাহবাগ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ১৬ সেপ্টেম্বর তার ময়নাতদন্ত হয়। জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও ইভানার বাবার মামলা নেয়নি থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আগে হওয়া অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে বাবার দেওয়া অভিযোগ তদন্ত করবে—পুলিশ এমনটা জানিয়ে তাকে বিদায় করে দেয়।
তবে গতকাল থানা থেকে ইভানার বাবাকে ফোন করে থানায় যেতে বলা হয়। এরপর গতকাল আমান উল্লাহ চৌধুরী তার আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেনকে নিয়ে থানায় যান। পুলিশ তখন মামলাটি গ্রহণ করে। শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হারুনুর রশিদ বলেন, তদন্তে আত্মহত্যা প্ররোচনাজনিত কোনো উপাদান পাওয়া গেলে সেটি নিয়মিত মামলা হিসেবে চার্জশিট দেওয়া হবে।
সূত্রঃ ইত্তেফাক