Home বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার আসছে পাইলট নওশাদের মরদেহ

বৃহস্পতিবার আসছে পাইলট নওশাদের মরদেহ

85
0

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের মরদেহ বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকায় পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের হোটেল-মোটেলের অনলাইন বুকিং সিস্টেম উদ্বোধন করতে গিয়ে সচিবালয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ওই দিন দোহা ফেরত বিমানের একটি ফ্লাইট ঢাকা আসার পথে ভারতের নাগপুর থেকে নওশাদের মরদেহ ও তার দুই বোনকে সঙ্গে নিয়ে দেশে ফিরবে। বাংলাদেশের সঙ্গে এখন ভারতের ফ্লাইট চালু নেই। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে বাবল ফ্লাইট চালু হবে। মেডিক্যাল রিপোর্ট ও ফ্লাইট সংক্রান্ত কাগজপত্র সম্পন্ন করে আগের দিনই মরদেহ দেশে আনার চেষ্টা রয়েছে তাদের।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট ওমানের রাজধানী মাস্কাট থেকে ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফেরার পথে ভারতের রায়পুরের আকাশসীমায় অসুস্থ হয়ে পড়েন ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে দ্রুত ককপিটের নিয়ন্ত্রণ নেন সঙ্গে থাকা ফার্স্ট অফিসার মোস্তাকিম। তিনি কন্ট্রোল টাওয়ারের মেডিক্যাল ইমার্জেন্সির কথা জানালে নাগপুরের ড. বাবা সাহেব আম্বেদকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি পান। বিমানটি নিরাপদে জরুরি অবতরনের পর নাগপুরের হোপ হাসপাতলে দ্রুত ভর্তি করা হয় ক্যাপ্টেন নওশাদকে। সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ৩০ আগস্ট নওশাদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

নওশাদ আতাউল কাইউম ১৯৭৭ সালের ১৭ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে পাইলট হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০০০ সালের ১৩ নভেম্বর ক্যাডেট পাইলট হিসেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে কাজে যোগদান করেন এবং প্রশিক্ষণ শেষে ২০০২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর এফ-২৮ এর ফার্স্ট অফিসার পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি ২০০৬ সালের ১৪ মে এয়ারবাস-এ-৩১০ উড়োজাহাজের ফার্স্ট অফিসার এবং ২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বোয়িং ৭৭৭ এর ফার্স্ট অফিসার হন। সবশেষ ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি বোয়িং ৭৩৭ এর ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন এবং মৃত্যুর সময় পর্যন্ত তিনি এ পদেই কর্মরত ছিলেন। তারা বাবা আব্দুল কাইয়ুমও একসময় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন ছিলেন।