Home বাংলাদেশ আফগানিস্তানের সাথে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০গ্রামে আজ ঈদ

আফগানিস্তানের সাথে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০গ্রামে আজ ঈদ

71
0
ছবি সংগৃহীত

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ৭ নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা ও শমেসপুর গ্রামের কিছু অংশের মানুষ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। আফগানিস্তান, নাইজার ও মালিতে চাঁদ দেখার সংবাদ পেয়ে তাদের সাথে মিল রেখে হাজীগঞ্জবাসীও ঈদ উদযাপন করেছেন বলে জানা গেছে।

দেশের আগাম ঈদের প্রবক্তা চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফসহ ওই দরবারের অনুসারীরা আজ রবিবার ঈদ উল ফিতর পালন করছে। বিশ্বের যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখা গেলেই ঈদ পালিত হবে বলে দাবী করেন সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারীরা।

জেলার হাজীগঞ্জের সাদ্রা সমেশপুর, অলিপুর, উচ্চঙ্গা, প্রতাপপুর, রামচন্দ্রপুর, বলাখাল, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ঘড়িহানা, মুন্সীরহাট, চান্দ্রাসহ জেলার প্রায় ৪০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।

রোববার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফ মাদ্রাসা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরিফের পীর মুফতি যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী।

এ বিষয়ে সাদ্রা দরবারের পীরজাদা ড. মুফতি বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, হানাফি, মালেকি ও হাম্বলি— এ তিন মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তেও যদি চাঁদ দেখা যায় আর সে সংবাদ যদি নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তেও পৌঁছায়, তাহলে পূর্ব প্রান্তের মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা ফরজ এবং ঈদ করা ওয়াজিব।

সাদ্রার আরেক পীর মাওলানা মো. আরিফ চৌধুরী বলেন, আমার চাচারা ঈদ উদযাপন করলেও আমাদের কাছে তা গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না। আমরা সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করব।

স্থানীয় বাসিন্দা মশিউর রহমান মুশু যুগান্তরকে জানান, সকাল থেকে কিছু মানুষ নামাজ পড়েছে। তবে কম। আগামীকাল আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ করবো। আজ ঈদের জামায়াতে তেমন মুসল্লীর সমাগম ঘটেনি।

উল্লেখ্য, আরব দেশগুলোর সঙ্গে সংগতি রেখে প্রতিবছর চাঁদপুরের তিনটি উপজেলার ৪০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা ৯৩ বছর ধরেই প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে সাদ্রাসহ ৪০টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করে থাকে।

সূত্রঃ যুগান্তর