নারীর সৌন্দর্য একটি জটিল এবং বহুস্তরীয় বিষয়। এটি শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং অভ্যন্তরীণ গুণাবলী ও ব্যক্তিত্বের উপরও নির্ভর করে। সৌন্দর্য এমন একটি ধারণা যা সংস্কৃতি, সমাজ এবং ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণের উপর ভিত্তি করে বিভিন্নভাবে পরিবর্তিত হতে পারে।

সামাজিক-সাংস্কৃতিক কারণে একজন মেয়ের সৌন্দর্যকে তার শরীরের সঙ্গে এক করে দেখার প্রবণতা কমেনি বরং বেড়েছে।

একজন নারীকে যদি প্রথমেই তার শরীর ও সৌন্দর্য দিয়ে বিবেচনা করা হয়, তাহলে এটি তার জন্য অপমানজনক। এটি নারী ও পুরুষ উভয়কেই বুঝতে হবে। সাংস্কৃতিক আধিপত্যের (hegemony) কারণে একজন মেয়ে চায় না কেউ তাকে অসুন্দর বলুক। এমনকি কোন ছেলেও এটা চায় না, তবে তার মধ্যে এ নিয়ে আতঙ্ক বেশ কম। সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিফলন বিয়ের সময় দেখা যায়।

সাধারণত ছেলে মেয়ে দুজনকেই এ সময়ে সাজতে হয়। কিন্ত একটি মেয়ের ‘বউ সাজ’ আর একটি ছেলের ‘জামাই সাজ’ এর মধ্যে বিস্তর পার্থক্য আছে। শহরের একজন নববধূকে খাওয়া-দাওয়া, বাথরুমের কাজ বন্ধ রেখে যেভাবে বিউটি পার্লারে আটকে রেখে তার ‘সৌন্দর্য’ বৃদ্ধি করা হয়, তা চরম অমানবিকও বটে। কিন্তু সে এটি করে অনেকটা হাসিমুখে। কারণ সে জানে তাকে ‘সুন্দর’ হতে হবে, এটি করলে তাকে ‘সুন্দর’ দেখাবে। ব্রাজিলের মতোই এটি এক ধরনের বিনিয়োগ একজন পুরুষকে ‘সন্তুষ্ট’ রাখার জন্য।

রাজধানীসহ দেশের নানান জায়গায় দ্রুত বর্ধনশীল বিউটি পার্লারের দোকানগুলোই এরকম ইঙ্গিত দিচ্ছে যে একজন মেয়ের জীবনে ‘সৌন্দর্য’ খুব গুরুত্বপূর্ণ। টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনে যত নারী মডেল দেখানো হয়, তাদের প্রায় সবাই ‘সুন্দর’। তাই কোন মেয়ে যদি মডেল হতে চায়, তাহলে তাকেও ‘সুন্দর’ হতে হবে, এমনকি তাকে তার ‘ফিগার’ সম্পর্কেও সচেতন হতে হবে।

টেলিভিশনে একটি নাটকও হয়তো দেখা যাবে না যেখানে রিসিপসনিস্ট চরিত্রে কোন পুরুষ অভিনয় করেছে। শুধু তাই নয় যে নারীকে দেখানো হবে, তাকেও ‘সুন্দর’ হিসেবে উপস্থাপন করা হবে। ব্রাজিলের মতো বাংলাদেশেও নারীর শরীর ও ‘সৌন্দর্য’ এক ধরনের ‘পুঁজি’ হিসেবে কাজ করে।

‘সুন্দরী’ হলে ‘ভালো’ জামাই পাওয়া যায় এ কথাটি সমাজে বেশ প্রতিষ্ঠিত। নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা এক ধরনের শিল্প। এটি কারও যোগ্যতা। তবে তা শুধু শারীরিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়।

সৌন্দর্যে নারী

মডেল: হুমায়রা সিদ্দিকা

অনেক মেয়েই মনে করে থাকেন সুন্দর চেহারা এবং আকর্ষণীয় দৈহিক সৌন্দর্যের অধিকারিণী হলেই তিনি সকলের চোখে হয়ে উঠবেন অতুলনীয় রূপসী।

আমাদের সমাজের পরিপ্রেক্ষিতে এমনটা ভাবা খুব বেশি ভুল নয়। কারণ আমাদের সমাজ ‘আগে দর্শনদারি, পরে গুণ বিচারী’ নীতিতে বিশ্বাসী। আর এই কারণেই মুখের ওপর মেকআপের প্রলেপ দিয়ে ডায়েট করে সকলের চোখে রূপসী হতে চান সকল নারীই। কিন্তু আসলেই কি এই মেকআপ এবং আকর্ষণীয় চেহারা ও দেহের কারণেই নারীরা হয়ে উঠেন রূপসী অন্য একজনের চোখে? মোটেই নয়। বরং নারীর সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে অন্যখানে।

কিছু বিশেষ গুণেই একজন নারী হতে পারেন অতুলনীয় সুন্দরী–

বাহ্যিক সৌন্দর্য

নারীর বাহ্যিক সৌন্দর্য প্রায়শই তার মুখমণ্ডল, শরীরের গঠন, ত্বকের রঙ এবং চুলের ধরন দ্বারা মূল্যায়ন করা হয়। তবে, আজকের দিনে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। মেকআপ, ফ্যাশন এবং ব্যক্তিগত যত্ন নারীর বাহ্যিক সৌন্দর্যকে আরো ফুটিয়ে তোলে।

অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য

নারীর প্রকৃত সৌন্দর্য তার অন্তরের গুণাবলী এবং ব্যক্তিত্বে নিহিত। তার মমত্ববোধ, সহানুভূতি, সহানুভূতি, এবং আত্মবিশ্বাসই তাকে প্রকৃত অর্থে সুন্দর করে তোলে। একজন নারীর অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য তার আচরণ, মনোভাব এবং জীবনের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রতিফলিত হয়।

সংস্কৃতি এবং সৌন্দর্য

বিভিন্ন সংস্কৃতিতে নারীর সৌন্দর্যের মানদণ্ড ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। কিছু সংস্কৃতিতে ফর্সা ত্বক এবং স্লিম ফিগারকে সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়, আবার অন্য কিছু সংস্কৃতিতে স্বাস্থ্যকর শরীর এবং প্রাকৃতিক রূপকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। সংস্কৃতির পরিবর্তনের সাথে সাথে সৌন্দর্যের ধারণাও পরিবর্তিত হতে থাকে।

আত্মবিশ্বাস এবং সৌন্দর্য

সৌন্দর্যের সাথে আত্মবিশ্বাসের একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। একজন আত্মবিশ্বাসী নারী তার সৌন্দর্যকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে। আত্মবিশ্বাস তার ব্যক্তিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি তাকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক হয়।

নারীর সৌন্দর্য একটি জটিল এবং বহুমাত্রিক বিষয়। এটি বাহ্যিক রূপের চেয়ে অনেক গভীর এবং অন্তরের গুণাবলী ও ব্যক্তিত্বের উপর ভিত্তি করে গঠিত। সৌন্দর্য আসলে একটি মানসিক এবং আত্মিক অবস্থান, যা নারীর জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়।

নারী মানেই সুন্দর। কিন্তু সেই সৌন্দর্যকে আরও ফুটিয়ে তুলতে তার জন্য প্রয়োজন সামান্য সচেতনতা। কিন্তু ব্যস্ত নারীর জীবনে সেই সুযোগ কোথায়? প্রতিদিনের স্বাভাবিক জীবনযাপনের মধ্যেই সামান্য সচেতনতা নারীর সৌন্দর্য বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ভালো ঘুম

ঘুম ভালো না হলে তার প্রভাব যে চোখে-মুখে পড়ে, সেকথা আমরা জানি। ঘুম শরীরের হরমোনে প্রভাব ফেলে, শরীরের ফ্যাট ক্ষয় করে এবং শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে মন-মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে। রাতে যে নারী ভালো ঘুমায়, সকালে তাকে দেখতে সুন্দর এবং সজীব লাগে। শুধু তাই নয়, সারাদিনই সে সুস্থ থাকে।

বিউটিস্লিপ

স্টকহোমের কারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট সুইডেনের মেয়েদের মধ্যে ঘুমের প্রভাব নিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। সেসময় কয়েকজন মেয়েকে ৮ ঘণ্টা এবং অন্যদের মাত্র ৫ ঘণ্টা ঘুমাতে দেয়া হয়। তারপর সকালবেলায় তোলা হয় তাদের সকলের ছবি। বিচারকদের মতে, ৫ ঘণ্টা নয়, পুরো ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরের তোলা ছবিতে মেয়েদের দেখতে অনেক সুন্দর, সজীব এবং ফিট লেগেছে। অর্থাৎ ‘বিউটি স্লিপ’ যে শুধু কথার কথা নয়, তা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

টাইপ টু ডায়বেটিস

যে নারীর প্রায় প্রতি রাতে ৭ ঘণ্টার কম ঘুম হয়, তার টাইপ টু ডায়বেটিস হওয়ার ঝুঁকি আছে। এ তথ্য ডেনমার্কের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে। গভীর ঘুমের সময় শরীরের রক্তনালী প্রশস্ত হয় এবং তখন ভালোভাবে পুষ্টি চলাচল করতে পারে। ফলে ত্বক হয় মসৃণ আর সজীব।

সৌন্দর্যে নারী

মডেল: হুমায়রা সিদ্দিকা

বয়স কমায় হাসি

যাদের যথেষ্ট ঘুম হয়, তাদের স্বাভাবিকভাবেই মন-মেজাজ ভালো থাকে। তারা স্বাভাবিকভাবেই বেশি হাসে এবং তাদের চেহারা দেখেও সহানুভূতিশীল মনে হয়। যারা কম হাসে বা মুখ বিষণ্ণ করে রাখে তাদের চেয়ে হাসিখুশি মানুষকে যে দেখতে সুন্দর, এমনকি দেখলে তাদের বয়সও কম বলে মনে হয়, সেকথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

সৌন্দর্য ভেতর থেকে আসে

‘ক্রিমের পরিবর্তে গাজর, মাস্কের বদলে আম’। অর্থাৎ সুন্দর হতে চাওয়া মানে এই নয় যে, সবসময় দামি প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে। বরং তার বদলে ভিটামিন যুক্ত খাবার খাওয়াই শ্রেয়। বেশ কিছু সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, যারা কম ফল-সবজি খায়, তাদের তুলনায় যারা বেশি সবজি এবং ফল খায়, তাদের মুখে কম বলিরেখা পড়েছে। কাজেই ত্বকের ওপরে ক্রিম বা মাস্ক মাখার চেয়ে গাজর বা আমের মতো ফল খেলেই উপকার বেশি পাওয়া যায়।

ত্বকের জন্য যথেষ্ট পুষ্টি

স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে ত্বক হয় টানটান, চুল ও নখ হয় সুন্দর এবং আকর্ষণীয়। বয়সকে জয় করতে নিয়মিত রঙিন সবজি, অর্থাৎ গাজর, মিষ্টি আলু, মিষ্টি কুমড়া, ব্রকলি ইত্যাদি খেতে হবে। সুন্দর ত্বকের জন্য প্রয়োজন মাছ এবং সবুজ শাক-পাতা বা সালাদও। ধূমপান, মদ্যপান এবং অতিরিক্ত সূর্যের আলো থেকে নিজেকে দূরে রাখা প্রয়োজন। প্রয়োজন প্রতিদিন ২ লিটার পানি পান করা এবং প্রচুর ভিটামিন সি খাওয়া, যেমন লেবু বা কমলা জাতীয় ফল।

ব্যায়ামের মাধ্যমে সুন্দর থাকুন

সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন, যে কোনো ধরনের ব্যায়াম বা খেলাধুলা খুবই জরুরি। ব্যায়াম শরীরকে ঝরঝরে ও সজীব রাখে এবং চাপ ভুলিয়ে দিতে বড় ভূমিকা পালন করে। দৈনন্দিন কাজের চাপের পর যে করেই হোক কিছুটা সময় নিজের জন্য ব্যয় করা তাই খুবই দরকার। তাছাড়া ঘরের নানা কাজও এক ধরনের ব্যায়াম, আর এই ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজের বাড়িও পরিষ্কার থাকবে, শরীর ও মন দুটোই থাকবে সুন্দর।

বিউটি স্ন্যাকস

শুধু বিউটি স্লিপ নয়, চাই বিউটি স্ন্যাকসও। লাঞ্চ ব্রেক-এ সাদা দইয়ের সঙ্গে বিভিন্ন ফল মিশিয়ে খেলে পাওয়া যায় দিনের প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, ই ইত্যাদি। যা আপনাকে অসংখ্য নারীর মাঝে করে তুলবে উজ্জ্বল আর আকর্ষণীয়।

মেয়েলী আবেগ

একজন আবেগবিহীন নারী যতই সুন্দরী হোন না কেন, তার সকল সৌন্দর্যই বৃথা। একজন নারীকে অপূর্ব করে তোলে তার মেয়েলী আবেগগুলো। তার সকল ব্যাপারে ইমোশনাল হয়ে পড়া, যে কোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা এই সবই একজন নারীর অনেক বড় সৌন্দর্য।

মায়া মমতা

নারী মাত্রই মায়া মমতাপূর্ণ একজন মানুষ। কারণ একজন নারী মায়ের ভূমিকাতেও থাকেন। কথায় বলে মেয়েরা মস্তিষ্ক দিয়ে নয়, হৃদয় দিয়ে চিন্তা করেন। আসলেই কথাটি সত্যি। নারীর সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে তার মায়া মমতায়, তার অন্যের দুঃখে দুঃখী হওয়ার মানসিকতায়, তার সহানুভূতি এবং সহমর্মিতায়।

বুদ্ধিমত্তা

আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত কথা রয়েছে, ‘সুন্দরী মেয়েদের বুদ্ধি কম, এবং যার বুদ্ধি রয়েছে তিনি সুন্দরী নন’। এই ধরণের অদ্ভুত তথ্য মেয়েদের ছোট করার অস্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। একজন বই পড়ুয়া জ্ঞানী, স্মার্ট মেয়ের বুদ্ধিমত্তা তার আসল সৌন্দর্য। একজন নারী তিনি দেখতে যেমনই হোক না কেন তার রয়েছে নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা। আর এই বুদ্ধিমত্তাই তার আসল সৌন্দর্য।

ব্যক্তিত্ব

একজন নারীর মধ্যকার আসল সৌন্দর্য হচ্ছে তার ব্যক্তিত্ব। একজন রমণী হিসেবে তার বাহ্যিক সৌন্দর্যটাই মুখ্য নয়। তিনি কি চিন্তা করেন, কি ভাবেন তার ব্যক্তিত্ব কোন ধরণের, তার মাধ্যমেই তার আসল সৌন্দর্য ফুটে উঠে থাকে।

আত্মবিশ্বাস

আত্মবিশ্বাস একজন মানুষকে অনেক বেশি মাত্রায় সুন্দর করে তোলে। তার নিজের মধ্যকার এই আত্মবিশ্বাসের অপূর্ব ছটা তার ব্যক্তিত্বকে আরও বেশি প্রস্ফুটিত করে। একজন আত্মবিশ্বাসী নারী নিজের ভেতরের সৌন্দর্য খুব ভালো করেই প্রকাশ করতে পারেন। তখন তিনি আসলেই হয়ে উঠেন একজন অনন্যা।

কর্মদক্ষতা

একজন নারী, তিনি কিই বা করতে পারেন। দুর্বল প্রকৃতির নারীকে অনেক বেশিই অবহেলা করা হয়ে থাকে আমাদের এই সমাজে। কিন্তু সকলেই ভুলে যায় সন্তান জন্মদানের মতো সব চাইতে কঠিন কাজটির ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা একজন নারীকেই দিয়েছেন। একজন নারীর সৌন্দর্য প্রকাশ পায় তার কাজের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং পরিপূর্ণ প্যাশনের মাধ্যমে। তিনি কতটা দক্ষ তার মাধ্যমেই বিচার হয় তার সৌন্দর্য।

নারীর সৌন্দর্য একটি জটিল এবং বহুমাত্রিক বিষয়। এটি বাহ্যিক রূপের চেয়ে অনেক গভীর এবং অন্তরের গুণাবলী ও ব্যক্তিত্বের উপর ভিত্তি করে গঠিত। সৌন্দর্য আসলে একটি মানসিক এবং আত্মিক অবস্থান, যা নারীর জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়।

—সংকলিত