ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-প্রাইভেটকার-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন।
নিহত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনই এক পরিবারের।শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এক পরিবোরের নিহত পাঁচজন হলেন- আমেনা বেগম (৪৫), তার মেয়ে ইমু (২৬), ছোট্ট মেয়ে রিহা (৮), নাতি আয়াজ (৭) ও নীপা (৩২)। এক আত্মীয়ের কুলখানিতে অংশ নিতে রাজধানীর জুরাইন থেকে মাদারীপুর যাচ্ছিলেন তারা।
নিহত আরেকজন হলেন আব্দুল্লাহ (৭) নামের শিশু। আব্দুল্লাহ রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকার বাসিন্দা সুমন মিয়ার ছেলে।
হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বে থাকা আব্দুর রহমান জানান, শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে বেপারী পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস বেপরোয়াভাবে সামনে থাকা একটি মোটরসাইকেল ও দুটি প্রাইভেটকারকে চাপা দেয়। এ সময় তিন শিশু, তিন নারীসহ ছয়জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। তিন চালকসহ আরও চারজন আহত হয়েছে। নিহত ও আহতদের মিটফোর্ড হাসপাতালে আছে। পুলিশ বাসটিকে জব্দ করেছে।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম জানান, মাওয়াগামী প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে বেপারী পরিবহনের বেপরোয়া গতির বাসটি প্রচণ্ড গতিতে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকার এই দুর্ঘটনায় যানবাহনগুলো সরিয়ে নেয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানি জানান, বেলা ১১টার দিকে সেতুর টোল পরিশোধের জন্য দাঁড়িয়ে ছিল একটি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস, একটি প্রাইভেট কার ও একটি মোটরসাইকেল।
তখন ঢাকা-কুয়াকাটা রুটের ব্যাপারী পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস থেমে থাকা তিনটি যানবাহনকে চাপা দেয়। বাসের সামনে থাকা প্রাইভেট কারটি বাস ও মাইক্রোর মাঝখানে একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায়। আহত ব্যক্তিদের ঢাকার মিডফোর্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সূত্রঃ ইত্তেফাক