ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন ‘আব কি বার, চারশ পার’ (এবারে চারশ ছাড়িয়ে যাব) স্লোগান দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছিলেন, তখন তিনি তার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের জন্য ৪০০ টিরও বেশি আসনে জয়ী হওয়ার লক্ষ্য রেখেছিলেন।

তবে এখন পর্যন্ত পাওয়া ফলাফল অনুযায়ী, মোদির এই লক্ষ্য তো পূরণ হচ্ছে না উল্টো তার দল বিজেপি এখন একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার শঙ্কায়।

এই রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত এনডিএ ২৯৬ আসনে এগিয়ে। একক দল হিসেবে বিজেপি এগিয়ে ২৪১ আসনে। অন্যদিকে বিরোধীজোট ইন্ডিয়া ২২৯ আসনে এগিয়ে আছে।

দেশটিতে ৫৪৩ আসনের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭২টি আসন। তাই ধারণা করা হচ্ছে বিজেপি এবার এককভাবে ‘ম্যাজিক ফিগার’ ২৭২ অর্জন করতে পারছে না।

এর আগে বিজেপি ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, মোদির বিজেপি এবার ২৫০ আসনের বেশি পাবে না। তাই সরকার গঠনের জন্য মোদিকে নির্ভর করতে হবে এনডিএ-র দুই শরিক, চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং নীতীশ কুমারের জেডিইউ-এর ওপর।

তবে অতীতে ওই দুই নেতারই একাধিকবার এনডিএ ত্যাগের এবং প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস রয়েছে। তাই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, এবার মোদির ম্যাজিক ব্যর্থ।

ভারতের ইতিহাসে মোদিই হতে চলেছেন দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি পর পর তিনবার ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে জওহরলাল নেহরুর মতো টাকা তিনবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা দখলের রেকর্ড করা সম্ভবত হচ্ছে না তার।

এদিকে নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের অবস্থা নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেছে কংগ্রেস। সেখানে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, “আমাদের এবারের লড়াইটি ছিল (ভারতের) সংবিধান বাঁচানোর লড়াই।”

এই লড়াইয়ে পাশে থাকার জন্য ভারতের জনগণের পাশাপাশি জোট সঙ্গী এবং কংগ্রেসের নেতা-কর্মীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাহুল। লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলাকালেই মঙ্গলবার হঠাৎ করেই ভারতের শেয়ার বাজারের সূচকে বড় ধরনের পতন দেখা গেছে।

সেই প্রসঙ্গ টেনে রাহুল বলেন, “আপনারা নিশ্চয়ই আদানির স্টক দেখেছেন। ভারতের মানুষ জানে যে, মোদির সঙ্গে আদানির সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্ক আসলে দুর্নীতির সম্পর্ক আছে।”

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের ফলাফলে ভারতের জনগণ বলে দিয়েছে যে, মোদিকে আমরা আপনাকে চাই না। (অমিত) শাহকে চাই না”।

সূত্রঃ ইত্তেফাক