ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড্ডয়নের সময় পাখির ধাক্কায় দুটি উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন যাত্রীরা।

ক্ষতিগ্রস্ত উড়োজাহাজগুলোর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ও অন্যটি ফ্লাই দুবাইয়ের। বিমানের ফ্লাইটে যাত্রী ছিল ১৫৬ জন। আর ফ্লাই দুবাইয়ে যাত্রী ছিল ১৮৫ জন।

শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরের পর এই ঘটনা বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে।

ওই সূত্র বলছে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উড্ডয়নের সময় রানওয়েতে উচ্চগতিতে থাকা বিমানের উড়োজাহাজের চাকার সঙ্গে পাখির ধাক্কা লাগে। এ সময় পাইলট হার্ড ব্রেক করেন। এতে উড়োজাহাজের একটি চাকা ফেটে যায়। পরে উড্ডয়ন বাতিল করে যাত্রীদের ট্যাক্সিওয়েতে নামানো হয়।

একই ধরনের আরেকটি ঘটনায় উড্ডয়নের সময় ফ্লাই দুবাইয়ের একটি ফ্লাইটেও পাখির ধাক্কা লাগে। এতে উড়োজাহাজটির বাম পাশের ইঞ্জিনের তিনটি ব্লেড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দুটি চাকা গলে যায়।

কর্মকর্তারা বলছেন, বিমানের উড়োজাহাজের ক্ষতি চাকায় হলেও ফ্লাই দুবাইয়ের উড়োজাহাজের ইঞ্জিনে বড় ক্ষতি হয়েছে। এই ফ্লাইট বাতিল করে যাত্রীদের হোটেলে রাখা হয়েছে।

জানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ঢাকা-ব্যাংকক রুটে বিমান বিজি ৭৩৭ ফ্লাইটের সঙ্গে পাখির ধাক্কা লাগে। এতে উড়োজাহাজের একটি চাকা ফেটে যায়। ওই বিমানের যাত্রীদের পরে অন্য একটি উড়োজাহাজে ব্যাংকক পাঠানো হয়। এ ছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ক্ষতিগ্রস্ত উড়োজাহাজটি বিমানের হাঙ্গারে প্রকৌশলী দলের তত্ত্বাবধানে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিমান কর্মকর্তারা জানান, যাত্রীরা সবাই নিরাপদে ছিলেন। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পাখির ধাক্কায় বিমানের একটি ড্রিমলাইনারের ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এয়ারলাইনসের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা বিমানবন্দরে পাখির সঙ্গে সংঘর্ষ একটি নিয়মিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে বিমান সংস্থাগুলো ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

সূত্রঃ প্রতিদিনের বাংলাদেশ