‘হাম্মাজান’ ও ‘ভাইজান’ গ্রুপকে ঠেকাতে জেলা প্রশাসককে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেছেন, জেলা প্রশাসক সাহেব, আপনি প্রশাসনের হেড। নারায়ণগঞ্জে র‍্যাব আছে, শিল্প পুলিশ আছে, গোয়েন্দা সংস্থা আছে, আপনি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

উশৃঙ্খল ছেলেরা কোথা থেকে মোটরসাইকেল পায়, কার কার ফ্যক্টরিতে ঢুকে কে জুট নিয়ে দেয় দেখেন। ১৫ দিনের মধ্যে যদি না করেন, নারায়ণগঞ্জে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থগিত করে দেবো।

নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স আ্যান্ড ইন্ডাস্টিজের ৩৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সেলিম ওসমান বলেন, বর্তমানে কিছু উশৃঙ্খল ছেলের জন্ম হয়েছে, এখানে সেখানে ‘নেত্রীর’ কথা বলা হয়। সেই নেত্রীকে আবার বলে ‘হাম্মাজান’। হাম্মাজান যেই হোক না কেন, কোনো অবস্থায়ই কোনো ব্যবসায়ীর ক্ষতি করা যাবে না। আবার দাঁড়িয়েছে আরেক গ্রুপ ‘ভাইজান’। মোটরসাইকেল দেওয়া হয়। কে কীভাবে কোথা থেকে মোটরসাইকেল কিনলো, কীভাবে মোটরসাইকেল রাস্তায় নামে, কীভাবে বিকেএমইএ’র ফ্যাক্টরিতে ঝুট ব্যবসার সৃষ্টি হয়, যেটা নাকি নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছিল।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে সেলিম ওসমান বলেন, আপনারা সরাসরি বলতে না পারেন, লিখিতভাবে বিকেএমইএর কাছে জমা দেবেন, অথবা নারায়ণগঞ্জ চেম্বারে জমা দেবেন। সিসিক্যামেরার ব্যবস্থা রাখেন। ২০০০ সালে যেভাবে শক্ত হয়েছিলেন, সেভাবে শক্ত হন। সাদা পতাকা না, প্রয়োজনে লাল পতাকা নিয়ে আপনাদের দাবি আদায় করবো।

তিনি বলেন, কোনো মায়ের সন্তান জন্মবে না নারায়ণগঞ্জে, যে সন্ত্রাস করবে। মোটরসাইকেল বাহিনী চলবে না।

ওসমান পরিবারের পাঁচটা আঙ্গুল আলাদা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনাদের ভয়ের কোনো কারণ নাই। আপনারা কেন পকেট থেকে পয়সা দিয়ে দেবেন। আপনি আরেকজন ব্যবসায়ীর ক্ষতি করছেন। কারও সুবিধার জন্য একজন ব্যবসায়ী আরেকজন ব্যবসায়ীর ক্ষতি করবেন না।

জেলে প্রশাসকের উদ্দেশে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাকে ডাকেন। আপনারা নারায়ণগঞ্জকে পরিচালনা করার দায়িত্ব নিয়েছেন। এই জায়গায় কোনরকম ছাড় দেওয়া উচিত হবে না। আপনাদের কাছে অনুরোধ করলাম আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এটার বিহিত চাই। ডিসি সাহেব, এসপি সাহেব, আপনারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

সূত্রঃ ইত্তেফাক