পর্দা দ্বীনের অপরিহার্য বিধান। মুসলিম নারীদের সুরক্ষা, মর্যাদা এবং সৌন্দর্যের অন্যতম প্রতীক। কুরআন-সুন্নাহর অকাট্য দলীল প্রমাণাদির ভিত্তিতে নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি বিধানাবলীর মতো মুসলিম নারীদের জন্য পর্দা পালন সুস্পষ্ট এক ফরয বিধান।
অপরদিকে একজন মুসলিম পুরুষের প্রকৃত সৌন্দর্য ফুটে ওঠে দাড়ির মাধ্যমে। পুরুষ বৈশিষ্ট্যের অন্যতম নিদর্শন হলো- ‘দাড়ি’। দাড়ি রাখা, হিজাব পরা নিছক ফ্যাশন নয়। দাড়ি রাখা, হিজাব পরা মুসলমান নারী-পুরুষের অন্যতম ইবাদত। দাড়ি রাখা প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)’সহ সকল নবীগণেরই একটি বিশেষ সুন্নাত। তাছাড়া পুরুষ এবং নারীর মাঝে পার্থক্য করারও অন্যতম নিদর্শন হলো- ‘দাড়ি’।
কিন্তু দুঃখ ও আফসোসের সাথে বলতে হয়, ৯২℅ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে একজন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরকে দাড়ি রাখতে চাইলে কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমোদন নিতে হয়। আরেকদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নারী শিক্ষার্থী পর্দা করে ভাইভা পরীক্ষায় অংশ নিতে চাইলে বোর্ডের সদস্যরা তাঁর চেহারা দেখতে গাঁ ধরেন। এমতাবস্থায় সেই নারী শিক্ষার্থী হিজাব খুলতে অস্বীকৃতি জানালে সেমিস্টারে উপস্থিত থেকেও ভাইভা বোর্ড শিক্ষার্থীকে অনুপস্থিত দেখায়। এটা স্পষ্টতই সংবিধান স্বীকৃত আমাদের ধর্মীয় অধিকারে বেআইনী হস্তক্ষেপের শামিল।
দাড়ি-টুপি, বোরকা-হিজাব এগুলো মুসলমানদের ধর্মীয় সংস্কৃতি। এদেশের মা-বোনেরা বোরকা-হিজাব পরে স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে যাবে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দাড়ি-টুপি পরিধান করবে। এটাই আমাদের হাজার বছরের সোনালী ইতিহাস। তাহলে কাদের ইন্ধনে আমাদের ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হলো? এর পিছনে কোন রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা, আমরা জানতে চাই।
আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। দেশের প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশের প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষিদের শাস্তি এবং সংশ্লিষ্ট ছাত্রীর প্রতি অন্যায় আচরণের প্রতিকার দাবি করছি। সেইসাথে দাড়ি রাখার ধর্মীয় অধিকারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জোর দাবী জানাচ্ছি।
-মুহাম্মদ নূর হোসাইন
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ।
Aninda, Sub-Editor