ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ নেত্রকোনা জেলার সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (৫ জুলাই) স্থানীয় ফাতিমা জাহিদ মিলনায়তনে জেলা ছাত্র জমিয়তের সভাপতি রুহুল আমিন তালুকদারের সভাপতিত্বে ও কাজী হাবিবুল্লাহ এবং আফিফ হাসান রাসেলের যৌথ সঞ্চালনায় এ কাউন্সিল সম্পন্ন হয়।
কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নূর হোসাইন, বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের সহ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আইনী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নেত্রকোনা জেলা জমিয়তের সভাপতি মুফতি তাহের কাসেমী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর জমিয়তের সহ সাধারণ সম্পাদক মুফতি আনিসুর রহমান, নেত্রকোনা জেলা জমিয়তের সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন নগরী, ময়মনসিংহ জেলা ছাত্র জমিয়তের সভাপতি মাওলানা আব্দুল আলিম, মোহনগঞ্জ উপজেলা যুব জমিয়তের সভাপতি তোফায়েল আহমদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী বলেছেন, দেশ ও জাতির উন্নয়ন অগ্রগতির ক্ষেত্রে, কোনো কুসংস্কার-প্রথা কিংবা সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক অবক্ষয় দূর করতে সেই দেশ ও জাতির ছাত্রসমাজের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখি- ধর্মহীন শিক্ষানীতি চাপিয়ে দিয়ে নাস্তিক্যবাদী, ভোগবাদী, উশৃংখল, মাদকাসক্ত প্রজন্ম তৈরীর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে শাসকগোষ্ঠী।
তিনি বলেছেন, আরেকদিকে শিক্ষা ব্যবস্থায় নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, অনিয়ম, দুর্নীতি, অস্ত্র ও মাদকের সয়লাবের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের পায়তারা চলছে। এমতাবস্থায় আমরা মনে করি- ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ’কে মাঠে-ময়দানে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে হবে। দেশ ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ছাত্র জমিয়তের প্রতিটি কর্মীকে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরো বলেছেন, এদেশের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও চারিত্রিক স্খলন থেকে রক্ষা করতে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশকেই এগিয়ে আসতে হবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নূর হোসাইন বলেছেন, দখলবাজি, চাঁদাবাজি, চরিত্রহীনতা ও নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে ছাত্ররাজনীতিকে এখন মানুষ নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে। যদিও স্বাধীন বাংলাদেশের পট পরিবর্তনের ইতিহাস পাঠ করলে ছাত্র রাজনীতির বহু সফলতা ও সুফলতা লক্ষ্য করা যায়।
তিনি বলেছেন, আমরা যদি গভীরভাবে লক্ষ্য করি তাহলে দেখি- এখনকার ছাত্র রাজনীতিবিদরা অধিকাংশই স্বার্থের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে গিয়েছে। যার দরুন ছাত্রসমাজের এই নৈতিক অবক্ষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে ছাত্র জমিয়তের প্রতিটি কর্মীকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
কাউন্সিল অধিবেশনে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে আরিফুল ইসলামকে সভাপতি, আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সাধারণ সম্পাদক ও কাজী হাবিবুল্লাহকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে দুই বছর মেয়াদী ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন জেলা জমিয়তের সভাপতি মুফতি তাহের কাসেমী।
Aninda, Sub-Editor