পাকিস্তানের করাচিতে মারা গেছেন ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন’ দাউদ ইব্রাহিম, এমন খবর সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তার মৃত্যু নিয়ে অসংখ্য পোস্ট দেখা যায়।
কিন্তু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, দাউদ ইব্রাহিমের মৃত্যুর খবরের কোনো সত্যতা নেই।
এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, কিছু স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে। তাতে দেখা যায়, এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান আনোয়ারুল হক কাকার দাউদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তার আত্মার শান্তি কামনা করেছেন। তবে এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই স্ক্রিনশট ভুয়া।
সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পোস্টে দাবি করা হয়– পাকিস্তানে অজ্ঞাত কিছু মানুষ গত শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিষপ্রয়োগ করেছে দাউদ ইব্রাহিমকে। বলা হয়, বিষপ্রয়োগের পর অসুস্থ হয়ে পড়া দাউদ ইব্রাহিম রোববার (১৭ ডিসেম্বর) করাচির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার এই মৃত্যুর খবরে উত্তাল হয়ে ওঠে পাকিস্তান ও ভারতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
এদিকে তথ্যের সত্যতা যাচাই–বাছাইকারী ওয়েবসাইট ডিএফআরএসি জানিয়েছে, ছড়িয়ে পড়া স্ক্রিনশটে যে এক্স অ্যাকাউন্টটি দেখা গেছে, তা আনোয়ারুল হক কাকারের নয়। সেটি ভুয়া। কাকারের আসল যে এক্স অ্যাকাউন্ট, তাতেও স্ক্রিনশটের মতো কোনো পোস্ট পাওয়া যায়নি।
এর আগে গতকাল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদনে বলা হয়, অসুস্থ হয়ে পাকিস্তানের করাচির একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন আন্তর্জাতিক অপরাধী ও ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন’ দাউদ ইব্রাহিম। ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছে।
দাউদ ইব্রাহিমের জন্ম ১৯৫৫ সালে। মুম্বাইয়ের একটি বস্তিতে তাঁর বেড়ে ওঠা। ১৯৯৩ সালে শহরটিতে বোমা হামলার ঘটনার পর ভারত ছেড়ে যান তিনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধী ও ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন’ হিসেবে পরিচিত দাউদ ইব্রাহিম। তিনি ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বাইয়ে বোমা হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। এ সিরিজ বোমা হামলার প্রাণ হারান ২৫৭ জন।
Aninda, Sub-Editor