খিলক্ষেত শাখা ছাত্র জমিয়তের সিরাত প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী সম্পন্ন।

ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের আওতাধীন আলহাজ্ব আব্দুল মালেক মাতাব্বর ইসলামিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা শাখা আয়োজিত মাহে রবিউল আউয়াল-১৪৪৫ হিজরী উপলক্ষে সিরাত প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১১ অক্টোবর) বাদ এশা শাখা ছাত্র জমিয়তের সভাপতি মুহাম্মদ সাখাওয়াত হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাহিত্য সম্পাদক বায়েজিদ আহমদের সঞ্চালনায় এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও যুব জমিয়ত বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইসহাক কামাল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব জমিয়ত বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা চৌধুরী নাসির আহমদ, সহকারী দফতর সম্পাদক ও অত্র মাদরাসার শিক্ষাসচিব মাওলানা মুকতাদির আহমদ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নূর হোসাইন, বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ সভাপতি ফজলে এলাহি নোমান৷

ছাত্র জমিয়ত

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা ইসহাক কামাল (হাফি.) বলেন, আমি মনে করি- আজকের এই প্রোগ্রাম ছাত্র জমিয়তের স্লোগানের বাস্তবায়ক অর্থাৎ সিরাত চর্চার মাধ্যমে ব্যক্তি গঠন হবে। আর ইসলামী শিক্ষা মানে হলো- ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থার নাম। এরই একটা অংশ হলো সিরাতুন্নবী (সা.)। আল্লাহর নবীর জীবনী চর্চা করা, পড়া এবং অনুধাবন করা এটা ইসলাম শিখারই নামান্তর। এরপর হলো- সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অর্থাৎ নবী জীবন থেকে যা শিখলাম এখন সেটাকে সমাজে বাস্তবায়ন করা, সামাজিক, পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সকল স্তরে বাস্তবায়ন করাই সমাজ গঠন।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া আর পুরস্কার গ্রহণ করাই এই অনুষ্ঠানের স্বার্থকতা নয়। এই অনুষ্ঠানের স্বার্থকতা ও সফলতা হলো- অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নবীজী (সা.)এর জীবনীকে মোতাআলা করে নিজের ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সকল স্তরে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে পৌঁছে দেয়া।

দুই পর্বে অনুষ্ঠিত প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার (ক) গ্রুপে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন মাদরাসার সহকারী শিক্ষাসচিব মাওলানা যুবায়ের সা’দী। এ গ্রুপে মোট-১৮ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই শেষে ১ম স্থান অর্জন করেন মুহাম্মদ সাখাওয়াত হোসাইন, ২য় স্থান সালমান রাহিব ও ৩য় স্থান যথাক্রমে দুইজন- মুহাম্মদ আশিক ও মুহাম্মদ আনোয়ার।

(খ) গ্রুপে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন মাদরাসার বাংলা বক্তৃতা ও সাহিত্য বিভাগের জিম্মাদার মাওলানা জুনায়েদ আহমদ। এই গ্রুপে মোট-১৯ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। এই গ্রুপে প্রথম স্থান অর্জন করে নাজমুল হোসেন, ২য় স্থান যথাক্রমে দুইজন- ইদ্রিস আলী ও সাইমুম ইসলাম সোহান, ৩য় স্থান অর্জন করে মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

দুই পর্বে উত্তীর্ণ মোট ৮জন প্রতিযোগীকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও আকর্ষণীয় পুরষ্কার প্রদান করা হয়৷ এছাড়াও অংশগ্রহণকারী সকলকে জামিয়াতুন নূর আল কাসেমিয়া থেকে প্রকাশিত ‘পয়গামে নূর’ সিরিজের ‘রহমাতুল্লিল আলামিন’ বইটি পুরস্কৃত করা হয়।

একই দিনে পৃথক আরেকটি অধিবেশনে মাদরাসার হিফজ বিভাগের মাসিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। দুই গ্রুপে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ৫ পারা গ্রুপে প্রথম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জন করে যথাক্রমে- মুহাম্মদ নূর আহমদ, মুহাম্মদ আব্দুর রহমান ও খালেদ বিন তৌহিদ শান।

১০ পারা গ্রুপে প্রথম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জন করে যথাক্রমে- মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, সিয়াম মাহমুদ ও মুহাম্মদ রিদওয়ান।

আরো উপস্থিত ছিলেন মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মুফতি আহসানুল্লাহ, নাজেমে দারুল একামাহ মুফতি সা’দুল্লাহ সাবের, নাজেমে কুতুব খানা মুফতি আনাস বিন মুহসিন, শিক্ষক মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন হোসাইন, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ, হাফেজ আমানুল্লাহ, ক্বারী আবুল কালাম ও মাস্টার নাজমুল হোসাইন প্রমুখ।