আরাভ খান বলেছেন, আমি নির্দোষ ছিলাম আপনারা আমার জীবন নিয়ে খেলেছেন। ঘুসখোর কিছু সাংবাদিক আমাকে অপরাধী বানিয়েছে। আমি মামলার ছয় নাম্বার আসামি, কোর্ট এখনো কোনো রায় দেয়নি। আপনারা আমাকে জেল খাটিয়েছেন। এর ফল আপনারা একটা একটা করে পাবেন। অনেকেই আমার সঙ্গে আছে, আমিও তাদের সঙ্গে আছি।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে ফেসবুক লাইভে এসব কথা বলেন তিনি।
আরাভ বলেন, ৯ থেকে ১০ বার বাংলাদেশ সরকার আমাকে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। পুলিশ প্রশাসন নেয়ার চেষ্টা করেছিল। অনেকেই বলেছেন- আমি পালিয়ে গেছি। আমি পালিয়ে যাইনি। আমি জানি, আমি অপরাধী না, তা হলে কেন আমি পালাব? আমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়নি, আমিই গেছি।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে হয় কোনো পাপ করেছিলাম, সে জন্য আল্লাহতায়ালা আমাকে শাস্তি দিয়েছেন। আমার আগের ভিডিও নিয়ে অনেকেই ফেক আইডি খুলে সেসব ভিডিও প্রকাশ করেছে।
আরাভ আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে যখন রেড অ্যালার্ট জারি করে ইন্টারপোল, তখন আমাকে ফোন করে ওনারা। আমাকে জানায়, আপনার নামে একটা ফাইল এসেছে। আপনি আসুন, আপনাকে গ্রেফতার করব। গ্রেফতার করার থেকে আপনি আসা সর্বোচ্চ উত্তম। আমি ভাবলাম, আমি পালিয়ে বেড়ালে আমাকে তারা গ্রেফতার করবে। আমি তো পালানোর মতো ছেলে না। কারণ আমি তো চোর না যে আমি চুরি করেছি, এখন পালিয়ে বেড়াব।
সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, ৯৫ ভাগ সাংবাদিক ভাইদের বলতে চাই, আপনারা যতই আমার পা ধরে টানেন। ২০ কোটি মানুষ আমার হাত ধরে উপরে টেনেছে। সাংবাদিকরা যেভাবে মার্কেটিং করছেন। আপনারা আমারে বিনা পয়সায় পরিচিত দিছেন। বিনা অপরাধে আমাকে ৩৭ দিন জেল খাটানো হয়েছে। সেখানে সারা বিশ্বের বিভিন্ন মাফিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয়েছে।
একটা দিকে ভালো হয়েছে, সারা বিশ্বের বড় বড় মাফিয়াদের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রটানো হয়েছে। সেজন্য আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছেন। এসব কারণে আমার ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে এসব করে আমার বিনামূল্যে বিজ্ঞাপন হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, আমাকে কোনো কারণ ছাড়াই অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ জন্যই আমাকে জেল খাটতে হয়েছে। সাংবাদিকদের মধ্যে অনেকেই অসৎ। এই অসৎ সাংবাদিকদের দেশে-বিদেশে কোথায় কী আছে, এসব আমি খুঁজে ফেসবুকের মাধ্যমে তুলে ধরব।
সূত্রঃ ভোরের কাগজ
Aninda, Sub-Editor