রাজধানীর গুলশান, বনানী ও নিকেতন সোসাইটির বাসিন্দাদেরকে তাদের আশপাশের লেকগুলোতে নৌকায় চলাচলের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশান-১ নম্বরে অবস্থিত শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি পার্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
তিনি বলেন, ‘আপনারা ইনোভেশনে আসুন। লেকে নিজেদের উদ্যোগে নৌকা নামান। তারপর সেই নৌকায় চলাচল করুন। মানুষ আপনাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে। আপনারা এক পা এগোবেন, আমি সিটি করপোরেশন থেকে দশ পা এগোবো।’
ডিএনসিসির মেয়র বলেন, ‘আমাদের সিটি করপোরেশনের অঙ্গীকার ছিল ২৪ পার্ক আমরা উদ্বোধন করে দেবো। সেই অঙ্গীকার অনুযায়ী শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি পার্ক উদ্বোধনের মাধ্যমে সবগুলো পার্ক উদ্বোধন হয়ে গেল। কিন্তু এই পার্কগুলো আধুনিক ও সবুজায়নের ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। ২৪ পার্কের ক্ষেত্রে ২৪ ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ আমরা মোকাবিলা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ডিজিটাল কার পার্কিং করলাম। উত্তরা, বনানী, গুলশানসহ পর্যায়ক্রমে ঢাকা উত্তর সিটির সব জায়গায় অন সাইট ডিজিটাল পার্কিং চালু হয়ে যাবে। এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে আমাদের। গুলশান-২ নম্বরে আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্টের মাধ্যমে ট্রাফিক কন্ট্রোল করছি।’
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘এই যে পার্কটি হলো এটার মধ্য দিয়ে জনগণের কাছে মেসেজ যায়। সেটি হলো কারা এই দেশের জন্য, মানুষের জন্য এবং নাগরিক সমাজের জন্য কাজ করতে চায় এবং করছে। কাজেই আগামী দিনে যারা ভোটার তাদের মেসেজ দিতে চাই, কারা এই কাজগুলো করছে। কারা আমাদের জীবনে উন্নয়ন অগ্রগতি ও স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিচ্ছে।’
ডিএনসিসির ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর খায়রুল আলম। আরও উপস্থিত ছিলেন পার্কটির নকশাকারী দলের প্রধান বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক এম এম নাজমুল ইসলাম, ডিএনসিসির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আমেনা বেগম, নিকেতন সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ বাশারসহ আরও অনেকে।
পরে ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি পার্কের উদ্বোধন করেন। এরপর পার্কটি পরিদর্শন করেন তারা।
সূত্রঃ ইত্তেফাক
Aninda, Sub-Editor