সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে সপ্তাহে চারদিন ব্যাংক খোলা থাকবে। বন্ধ থাকবে শুক্র, শনি ও রোববার। প্রতিটি ব্যাংকের প্রধান শাখা, সব বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা এবং জেলা ও উপজেলা সদরে একটি করে শাখা খোলা রাখতে হবে। এসব শাখায় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত লেনদেন হবে। লেনদেন পরবর্তী কাজ গোছানোর জন্য খোলা রাখা যাবে বেলা ৩টা পর্যন্ত।

করোনাভাইরাসের বিস্তর ঠেকাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কঠোর বিধিনিষেধের পর বুধবার এ নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নির্দেশনার ফলে বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত টানা চারদিন ব্যাংক লেনদেন বন্ধ থাকবে। ব্যাংক হলিডের কারণে বৃহস্পতিবার ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয়সহ অনেক শাখা খোলা থাকলেও অর্ধবার্ষিকী হিসাব প্রস্তুতের সুবিধার জন্য লেনদেন হবে না।

গত ১৭ জুন থেকে বুধবার পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত লেনদেন চলছিল। আর খোলা ছিল বিকাল ৫টা পর্যন্ত। সাধারণভাবে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন ও ৬টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকে। তবে গতবছর থেকে করোনাভাইরাসের বিস্তর ঠেকাতে সরকারি বিধিনিষেধের আলোকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক লেনদেন সীমিত করা হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অত্যাবশ্যকীয় বিভাগসহ সব শাখা যথাসম্ভব সীমিত লোকবল নিয়ে খোলা রাখতে হবে। আর কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। সব এটিএম বুথে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

আগামী এক সপ্তাহ প্রতিটি ব্যাংকের প্রধান শাখা ও সকল বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা খোলা রাখতে হবে। প্রত্যেক ব্যাংকের জেলা সদরে একটি করে শাখা খোলা থাকবে। আর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের প্রত্যেক উপজেলা সদরে একটি করে এবং অন্য ব্যাংকে জেলা সদরের বাইরে অনধিক দু’টি শাখা খোলা রাখা যাবে। বন্দর এলাকায় অবস্থিত শাখা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে। বন্ধ শাখার গ্রাহকদের খোলা রাখা শাখা থেকে লেনদেন সুবিধা দিতে হবে। এ বিষয়ে বন্ধ শাখার সামনে দৃশ্যমান স্থানে নোটিশ টানাতে হবে। ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আনা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

যা করা যাবে

কঠোর বিধিনিষেধের এ সময়ে অর্থ জমা, উত্তোলন ও জরুরি বৈদেশিক লেনদেন করা যাবে। ব্যাংকগুলো ডিমান্ড ড্রাফট বা পে-অর্ডার ইস্যু ও জমা নিতে পারবে। বৈদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, সরকারের সামাজিক কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন ভাতা, একই ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার হিসাবে অর্থ স্থানান্তর সুবিধা দেওয়া যাবে। ট্রেজারি চালান গ্রহণ, অনলাইন সুবিধা থাকা ব্যাংকের সব গ্রাহক এবং অন্য ব্যাংকের শুধু খোলা রাখা শাখার গ্রাহকদের ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতায় লেনদেন সুবিধা দেওয়া যাবে।

সূত্রঃ সমকাল