রাজধানীর দিলকুশায় অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ের বাইরে গুলির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১১ আগস্ট) সকালে এ ঘটনার সময় ২০১৭ সালের আগে ব্যাংকে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা–কর্মচারী এবং এর পরে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় গুলিতে ছয়জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজন। সবাইকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- শফিউল্লাহ, আবদুল্লাহ আল মামুন, আবদুর রহমান ও বাকিবিল্লাহ। দুজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তারা বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে জামায়াত পন্থীদের মাধ্যমে পরিচালিত হতো। ২০১৭ সালে রাজধানীর রেডিসন হোটেলে সব পরিচালক ও এমডিদের তুলে নিয়ে ব্যাংকের মালিকানা বদল হয়। ব্যাংকটি তুলে দেওয়া হয় এস আলম গ্রুপের হাতে। এর পর থেকে এর থেকে আর্থিক অবস্থা চরম খারাপ হয়েছে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে যাওয়ার পর থেকে এস আলম পন্থীরা আর ব্যাংকে আসছেন না।

বিক্ষোভকারীরা জানান, সরকার পতনের পরও বিভিন্ন উপায়ে ঋণের নামে অর্থ বের করে নেওয়ার চেষ্টা করছে এস আলম গ্রুপের লোকজন। গত সপ্তাহে তাদের বেনামি ঋণের ৮৪৮ কোটি টাকার চেক আটকে দেওয়া হয়। প্রধান কার্যালয় ও কয়েকটি শাখার কর্মকর্তাদের সহায়তায় আরও বিপুল অংকের অর্থ বের করে নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত আছে। দ্রুত ব্যাংকটিতে সংস্কার না আনলে সঙ্কট আরও বাড়বে। ব্যাংক বাঁচাতে দ্রুত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেন তারা।

ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, গত কয়েকদিনে এস আলম পন্থীরা ব্যাংকে ঢুকতে পারেনি। তবে রোববার বহিরগত অস্ত্রধারী এনে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে। তারা এখন ইউনূস সেন্টারের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। এরই মধ্যে সেনাবাহিনীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

সূত্রঃ সমকাল